ফেসবুকে যে কোনো পাবলিক পরীক্ষার ফল পরিবর্তনে নিশ্চয়তা দিয়ে যুবকের পোস্ট!

শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২১ | ১২:৫৩ অপরাহ্ণ

ফেসবুকে যে কোনো পাবলিক পরীক্ষার ফল পরিবর্তনে নিশ্চয়তা দিয়ে যুবকের পোস্ট!
apps

মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকসহ যে কোনো পাবলিক পরীক্ষার ফল পরিবর্তন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস এমনকি নিয়োগ পরীক্ষায় শতভাগ প্রশ্ন কমনের নিশ্চয়তা। সবই সম্ভব! তবে গুনতে হবে টাকা। করোনায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, বন্ধ পরীক্ষা। অথচ ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ফল পরিবর্তনের বিজ্ঞাপন দিয়ে এক কিশোর শতাধিক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে টাকা। তাকে গ্রেফতারের পর পুলিশ বলছে, প্রশ্ন ফাঁস চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে তার।

এমডি সাইফুল তাজ নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল পরিবর্তনের। যেহেতু এ বছর করোনার কারণে জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসির ফল নিধার্রণ করা হবে তাই যারা রেজাল্ট পরিবর্তন করতে চায় তাদের দ্রুত যোগাযোগের পরামর্শ দিয়ে এই পোস্ট।

বিজ্ঞাপনে প্রমাণ হিসেবে যারা এরই মধ্যে ফল পরিবর্তন করেছেন তাদের মার্কশিটের ছবিও জুড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি করোনায় ঘরবন্দি শিক্ষার্থীদের নজরে এলে অনেকেই যোগাযোগ করেন তার সঙ্গে। ফল পরিবর্তনের আশ্বাসে টাকাও দেন তারা।

সাইফুল তাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে তার অনেক ছবি দেখা যায়। বলা হয়েছে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কম্পিউটার টেকনেশিয়ান। এসব বিজ্ঞাপন দেখে সাইফুলের অনেক আত্মীয়স্বজন বিষয়টি সম্পর্কে তার কাছে জানতে চায়। পরে সাইফুল বুঝতে পারেন তার ছবি ব্যবহার করে ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে কেউ একজন প্রতারণা করছে।

এবার তিনি মামলা করেন এবং জানান সাইফুল নয় তার নাম সরফুল। সাইফুল নামে কাউকে তিনি চেনেনও না। রাজনৈতিক কারণে মন্ত্রীর সঙ্গে তার সখ্য আছে।

ভুক্তভোগী সরফুল ইসলাম বলেন, আমি এক সময়ে চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের মেম্বার ছিলাম। পরবর্তীতে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সেক্রেটারি ছিলাম। সেই রাজনৈতিক সূত্র থেকে শিক্ষামন্ত্রী আমার নেতা।

গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার বিভাগ খোঁজ পায় ওই অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীর। গ্রেফতারের পর সব স্বীকার করে সে।

ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম সহকারী পুলিশ কমিশনার হাসান মোহতারিম সজিব বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডমিশন টেস্ট রয়েছে সেখানে সে বলত ১০০ পার্সেন্ট কমন পড়বে এবং প্রশ্নের স্যাম্পলও দিত। তা দিয়ে মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করত।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, যারা অতীতে প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছে, এ ধরনের কোনো চক্রের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে।

তাকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদে আর কেউ তার সঙ্গে জড়িত কি না তা বের করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও জানায় গোয়েন্দা পুলিশ।

Development by: webnewsdesign.com