ফরিদপুরে ভূমিহীন মুক্ত হচ্ছে ফরিদপুরের আরও দুই উপজেলা

সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩ | ১২:৩৮ অপরাহ্ণ

ফরিদপুরে ভূমিহীন মুক্ত হচ্ছে ফরিদপুরের আরও দুই উপজেলা
ফরিদপুরে ভূমিহীন মুক্ত হচ্ছে ফরিদপুরের আরও দুই উপজেলা
apps

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার পর এবার ভূমিহীন ‍মুক্ত হতে যাচ্ছে ফরিদপুরের আরও দুই উপজেলা সালথা ও আলফাডাঙ্গা। আগামী ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দিবেন। ফরিদপুরে ভূমিহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর গৃহ উপহারের মোট ৫ হাজার ৭২৭টি গৃহের মধ্যে ৫ হাজার ২০৩টি ইতিপূর্বে তিন দফায় হস্থান্তর করা হয়েছে। বাকি ৪৪৭টি ঘর দেওয়ার মধ্যদিয়ে জেলার তিনটি উপজেলা হতে যাচ্ছেন গৃহীনমুক্ত।

ফরিদপুরের মধ্যে সবচেয়ে বড় আশ্রয়ণ প্রকল্প স্বপ্ননগর। যেখানে তিনশতাধিক ঘর তৈরি করা হয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ভূমিহীনদের জন্য। এই স্বপ্ননগরে ভূমিহীনদের জমিসহ ঘরের পাশাপাশি স্থাপন করা হয়েছে মসজিদ, জেলা প্রশাসন স্কুল নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাজার।

আলফাডাঙ্গার উপর দিয়ে প্রবাহিত মধুমতি নদীর ভাঙ্গনের কবলে নিঃস্ব পরিবারসহ ভূমিহীনদের আশ্রয় এই স্বপ্ননগরে। এই আশ্রয়নে গিয়ে দেখা মেলে, সেখানকার বাসিন্দারা ঘরের চার পাশে লাগিয়েছে নানান প্রজাতির ফল ও ফুলের গাছ, কেউ বা গবাদি পশু গরু, ছাগল ও হাঁস-মুরগির খামার আবার কেউ মুদি দোকান খুলেছেন। নিজের পরিবারকে অর্থিক স্বাবলম্বী করতে এমন নানা উদ্যোগ তাদের।

স্বপ্ননগরে ঘর পেয়েছেন ৬৫ বছর বয়স্ক সচিন দাস (৬৫) ও স্ত্রী সবিতা দাস (৫৬)। দুজনে এখন বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরি করছেন ধামা, কুলা, খলই, ডালাসহ গৃহস্থালী নানা কুটিরশিল্প সামগ্রী। আর এইভাবেই প্রতিটি পরিবার তাদের ভাগ্যবদলের চেষ্ঠায় কাজ করে চলছেন। এতে ওই পরিবার গুলোকে নানাভাবে সহায়তা করছেন জেলা প্রশাসন।

সালথা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সালাহউদ্দিন আইয়ূবী জানান, ‘যাদের কোন ঘর ছিল না তারা এখানে আশ্রয় পেয়ে নিজেদের মতো করে বাঁচতে চেষ্ঠা করছেন। তাদের এই স্বাবলম্বী হয়ে উঠার গল্প যার যার মতো। নিজেদের পরিশ্রম ও মেধা কাজে লাগিয়ে তারা এগিয়ে যাপচ্ছেন।’

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ফরিদপুরের আশ্রয়ণ প্রকল্প আগামী ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। আমাদের পরিকল্পনা ছিল ৫ হাজার ৭২৭টি ঘর নির্মানের। এ পর্যন্ত ৫ হাজার ২০৩টি ঘর নির্মাণ করেছি। আর প্রায় ৫০০ বাকি থাকে। আশা করছি জুনের আগেই বাকি ঘরগুলো নির্মাণ সম্পন্ন করতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, গত দেড় বছরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগীদের নিয়ে একটি শুমারি করেছি। তাতে দেখেছি, এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে উপকারভোগীদের মাসিক গড় উপার্জন ছিল ৬ হাজার টাকা। আশ্রয়ণ প্রকল্পে আসার পর তাদের উপার্জন ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকার মতো হয়েছে। তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির কারণে উপার্জন বেড়েছে। তাদের স্বাস্থ্যসেবা বেড়েছে। তারা সন্তানদের শিক্ষাদিক্ষা দিয়ে মানুষ করতে পারছে। তাদের দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে।

Development by: webnewsdesign.com