প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার শেষে যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন চায় জামায়াত। জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান গতকাল বিকাল ৫টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রম শুরুর আগে যমুনায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে বৈঠকে দলের পক্ষ থেকে কিছু মৌলিক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ সরকার একটা নির্দলীয় সরকার। তারা দেশ শাসনে আসেননি। দেশ শাসনের সুষ্ঠু পথ বিনির্মাণের জন্য তারা এসেছেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, গত তিনটা নির্বাচনে জাতি বঞ্চিত হয়েছে। আগামীতে জাতির সামনে একটা গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দেওয়ার পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া মূল কাজ। সেজন্য মৌলিক বিষয়ে তাদের কিছু সংস্কার করতেই হবে। কী কী মৌলিক বিষয়ে সংস্কার করা উচিত সে বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। তিনি বলেন, ৯ অক্টোবর জাতির সামনে আমাদের প্রস্তাবগুলো তুলে ধরব। অবিলম্বে আমরা আমাদের চিন্তা জাতির সামনে তুলে ধরব। কী কী সংস্কার এ মুহূর্তে প্রয়োজন, কী কী সংস্কার পরবর্তী সময়ে লাগবে সে বিষয়গুলো জাতির সামনে তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে কথা হয়েছে। জামায়াত আমির বলেন, জনগণ এবং সরকার একসঙ্গে কীভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত করতে পারে, সব ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারে সে বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের কথাবার্তা হয়েছে। আমরা আশা করছি, বর্তমান যে সরকার আছে তারা কোনো ধরনের পক্ষ-বিপক্ষের মানসিকতা না নিয়ে নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে দেশকে একটা ভালো পর্যায়ে নিয়ে নির্বাচন দিতে সক্ষম হবে। শফিকুর রহমান বলেন, আমরা শুরু থেকে বলে আসছিলাম সংস্কারের জন্য সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে চাই। সেই যৌক্তিক সময়টা কী হবে? এটা নিয়ে অচিরেই আমরা কাজ করব। এটা দেরি হবে না, এভাবে আমরা সামনে এগোতে চাই। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে জামায়াতের প্রতিনিধি দল যমুনায় প্রবেশ করে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলটির নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের ও আ ন ম শামসুল ইসলাম প্রমুখ।
Development by: webnewsdesign.com