প্রাণভিক্ষার চেয়েও হয়নি রক্ষা: ইরানে কুস্তিগীরের মৃত্যুদণ্ড

রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ৮:২১ অপরাহ্ণ

প্রাণভিক্ষার চেয়েও হয়নি রক্ষা: ইরানে কুস্তিগীরের মৃত্যুদণ্ড
apps

আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) সভাপতি টমাস বাখ ইরানের প্রধান ধর্মীয় নেতার কাছে তার প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও তাকে মৃত্যুদণ্ড না দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন ইরানের প্রথম সারির নেতাদের কাছে। কিন্তু ইরানের আদালত কারও আবেদন গ্রাহ্য করল না। ২৭ বছর বয়সী কুস্তিগীর নাভিদ আফকারির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হল দক্ষিণ ইরানের একটি জেলে। নাভিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলে ইরানকে বিশ্ব ক্রীড়া থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছিল সারা বিশ্বের ৮৫ হাজার কুস্তিগীর। কিন্তু কোনও কিছুই শেষ পর্যন্ত কাজে আসলো না।

আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) সভাপতি টমাস বাখ বলেছেন, সারা বিশ্বের ক্রীড়াবিদদের আবেদন শোনা হল না। আইওসি, ইরানের অলিম্পিক কমিটি, বিশ্ব রেসলিং এবং ইরানিয়ান রেসলিং ফেডারেশনের অনুরোধও গ্রাহ্য করা হল না। এটা খুবই হতাশার ব্যাপার। নাভিদ আকফারির পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের জন্য আমাদের সমবেদনা রইল।

 

২০১৮ সালের ২ আগাস্ট শিরাজে হোসেন তুর্কমেন নামের এক সরকারি কর্মীকে ছুরিকাঘাতে খুন করেছিলেন নাভিদ আফকারি। সেই সময় ইরানে সরকার বিরোধী মিছিল চলছিল। মন্দা অর্থনীতির জন্য সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। এই নিয়েই প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন কয়েক লাখ সাধারণ মানুষ। সরকার বিরোধী বিক্ষোভে শামিল হওয়ায় নাভিদের দুই ভাইকেও কারাদণ্ড দিয়েছে শিরাজের প্রাদেশিক আদালত। এক ভাই ভাহিদ আকফারির জেল হয়েছে ৫৪ বছর। আরেকজন হাবিব আকফারির ২৭ বছর।

আফকারি ও তার পরিবারের লোকজন দাবি করেছেন, জেলে নির্যাতন করে নাভিদকে খুনের মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করা হয়েছে। নাভিদের আইনজীবীর দাবি, অপরাধের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ইরানি বিচার বিভাগ অবশ্য নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায়ের দাবি খারিজ করেছে। আকফারির আইনজীবী হাসান ইউনেসি দাবি করেছেন, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার আগে পরিবারের কারও সঙ্গে নাভিদকে শেষ দেখা পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি। ইরানে কুস্তি খুবই জনপ্রিয় খেলা। কুস্তিতে এখন পর্যন্ত ৪৩টি অলিম্পিক পদক জিতেছে ইরান। তাই নাভিদ আফকারির এমন পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না ইরানের জনগণ।

Development by: webnewsdesign.com