স্বাধীন বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ঘাটতির বাজেট ঘোষণা হতে যাচ্ছে আজ। প্রথমবারের মতো ৬ লাখ কোটি টাকা ছাড়াতে যাচ্ছে আকারের দিক থেকেও সবচেয়ে বড় নতুন এ বাজেট। এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত বিশেষ কেবিনেটে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) দুপুর ১২টায় জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বিশেষ এ বৈঠক শুরু হয়।
“জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ” এই শিরোনামে প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। মন্ত্রিপরিষদ অনুমোদন দেওয়ায় বেলা তিনটায় জাতীয় সংসদে দেশের ১৫তম অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করবেন।
বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের বাজেটের সাথে নতুন বাজেটের আকারের পার্থক্য মাত্র হাজার কোটি টাকা। অতীতের ধারাবহিকতায় এ বাজেটেও থাকবে বড় অংকের ঘাটতি। নতুন বাজেটে ঘাটতি থাকতে পারে ২ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা, যা দেশের মোট জিডিপির ৬ দশমিক ১ শতাংশ। তবে এতে গুরুত্ব পাবে করোনা সংকটে দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখার বিষয়টি।
এবারের বাজেটে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআরকে দেওয়া হতে পারে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা কর আদায়ের বিশাল লক্ষ্য। পাশাপাশি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে সরকার ব্যয় লক্ষ্যমাত্রা থাকবে ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা।
১ ঘণ্টা ১৬ মিনিটের অধিবেশনে, অর্থমন্ত্রীর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের সঙ্গে থ্রিডি প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরা হতে পারে করোনাকালীন বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার নানা মাইলফলক।
বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরা হতে পারে ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। এর বাইরে ব্যাংক থেকে সরকারের সম্ভাব্য ঋণ ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে আসতে পারে ৩২ হাজার কোটি টাকা।
নতুন বাজেটে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচিতে বরাদ্দ থাকতে পারে ২ হাজার ৫৮৮ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের সুদ মেটাতে সরকারের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হতে পারে ৬৮ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা।
Development by: webnewsdesign.com