প্রথমবারের মত পাকিস্তানে ডিএসপি পেল হিন্দু নারী

শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২ | ৩:২০ অপরাহ্ণ

প্রথমবারের মত পাকিস্তানে ডিএসপি পেল হিন্দু নারী
apps

মুসলিম শাসিত পাকিস্তানে প্রথম কোনো হিন্দু নারী পুলিশের উচ্চপদে নিয়োগ পেল। ওই কর্মকর্তার নাম মনীষা রোপেতা। ২৬ বছর বয়সী মনীষা রোপেতা, পাকিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রথম নারী, যিনি ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট হয়েছেন। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

পাকিস্তানের পুরুষ শাসিত সমাজ ও সংস্কৃতিতে নারীদের অবস্থান পুরুষদের তুলনায় অনেকটাই নিচে। সেই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে একজন নারীর পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেওয়ার মতো ঘটনা বেশ কঠিন। সেই কাজটাই করেছেন মনিষা রোপেতা। ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট হওয়ার আগে সিন্ধু প্রদেশে সফলতার সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি।মনীষা রোপেতা পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের জ্যাকোবাবাদ এলাকার বাসিন্দা। বাবা ছিলেন জ্যাকোবাবাদের এক ব্যবসায়ী, মনিষার যখন ১৩ বছর বয়স তখন তিনি মারা যান। এরপর মনীষার মা তাকে এবং তার ভাইবোনদের নিয়ে করাচিতে যান এবং সেখানেই তাদের বড় করেন।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই তিনি এবং তার বোনরা পিতৃতন্ত্র দেখেই বড়ো হয়েছেন। যেখানে মেয়েদের শিক্ষিত হয়ে কর্মজীবনে শুধু শিক্ষক বা ডাক্তার হওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়।মনীষা বলেন, তিনি এই ধারণাটার পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন, একজন পুলিশ অফিসার হয়ে। আর এখন তিনি সেই লক্ষ্যে সফল হয়েছেন।জানা যায়, বর্তমানে প্রশিক্ষণে রয়েছেন মনীষা রোপেতা। তাকে লিয়ারির অপরাধপ্রবণ এলাকায় পোস্টিং দেওয়া হবে বলেও জানা যাচ্ছে।তিনি জানিয়েছেন, আমি নারীবাদের প্রচারণামূলক কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দিতে চাই এবং পাকিস্তানি পুলিশ বাহিনীতে লিঙ্গসমতাকে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেওয়ার আগে সিন্ধু পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন মনীষা। পরীক্ষায় ৪৬৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৬তম স্থান পেয়ে পাস করেছিলেন তিনি। এর পরই পাকিস্তান পুলিশ কমিশনে যোগ দেন তিনি।মনীষা জানিয়েছেন, সিন্ধু পুলিশের সিনিয়র পদে থাকা এবং লিয়ারির মতো জায়গায় পুলিশি প্রশিক্ষণ নেওয়া মোটেই সহজ নয়। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি এই জায়গায় এসেছেন। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, মেয়েদের উচ্চশিক্ষার ব্যাপারে তার চারপাশে একটা কুক্ষিগত ধারণা ছিল, এমনকি তার আত্মীয়রাও জানিয়েছিল পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করছে সে, এটি একটি কঠিন পেশা, এই পেশায় বেশিদিন টিকবে না সে।

আজ তাদের ভুল প্রমাণ করতে পেরে খুশি ডিএসপি মনীষা রোপেতা। তিনি পুলিশের ভালো ভাবমূর্তি তুলে ধরার ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালনের ব্যাপারে আশাবাদী। পাকিস্তানে এখনো অনেক মানুষের পুলিশের ওপর আস্থা নেই। তারা অপরাধের রিপোর্টও করে না। সেই অবস্থার পরিবর্তন করতে চান ডিএসপি মনীষা।

Development by: webnewsdesign.com