ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে প্রতিশোধের হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টা পরেই ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলেইমানির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার নিজের শহর কেরমানে বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অভিজাত কুদস ফোর্সের এই জেনারেলকে দাফন করা হয়।
তাকে দাফনের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই এক ঘণ্টার ব্যবধানে ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে দু’বার হামলা চালিয়েছে তেহরান। ইরানের স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলের আইন আল আসাদ এবং কুর্দিস্তানের এরবিলে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে অন্তত ১৫টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ নেয়ার চেষ্টা করা হলে ওই অঞ্চলে মার্কিন মিত্ররা আক্রান্ত হবে বলেও হুমকি দিয়েছে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী।
গত শুক্রবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হামলা চালিয়ে জেনারেল সোলেইমানিকে হত্যা করা হয়। ওই হামলার কঠোর জবাব দেওয়া হবে বলে আগেই সতর্ক করেছিল তেহরান। বুধবার কাসেম সোলেইমানিকে দাফনের আগেই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ইরানের প্রতিশোধ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
বাগদাদের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা বলে মনে করা হতো সোলেইমানিকে। ইরানের জনপ্রিয় এবং জাতীয় এই বীরের জানাজা ও দাফনে মানুষের ঢল নেমেছিল। তার মৃত্যুতে ইরানজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দেশটিতে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়।
এদিকে, ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৮০ মার্কিন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। তবে ইরানের হামলায় হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
Development by: webnewsdesign.com