রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেছেন, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েরই দ্বৈত দায়িত্ব রয়েছে। একটি নিজ দেশের প্রতি, অন্যটি বিশ্ব মানবতার প্রতি।
বিশ্ববিদ্যালয় এমন এক জায়গা, যেখান থেকে সম্প্রীতির বাণী ছড়িয়ে দিতে পারি। এখানে কোনো সাম্প্রদায়িক চেতনাধারীদের ঠাঁই হবে না।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ সিনেট ভবনের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. তারেক নুরের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপাচার্য আরও বলেন, বর্তমানে ওয়াজ-মাহফিলে ফতোয়াদান, নারীদের প্রতি অসম্মান করে কথা বলা, গানকে হারাম ঘোষণাসহ বিভিন্নভাবে অসাম্প্রদায়িক মানুষদের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানো হচ্ছে। ১৯৭৫ পরবর্তী শিক্ষা কারিকুলামে ধর্মকে অযাচিতভাবে ব্যবহার করে সমাজকে উল্টো দিকে নেওয়া শুরু হয়েছিল।
বঙ্গবন্ধুর সম্প্রীতির বাংলা গড়তে শিক্ষার্থীদের মাঝে অসাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিক সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, এ (সাম্প্রদায়িক সহিংসতা) ঘটনাগুলো পেছনে নানা মহলের স্বার্থ জড়িত থাকায় তেমন তদন্ত হয় না।
এসব ঘটনায় সর্বোচ্চ তিন মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। দেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ আইন তৈরি করতে কবে। যাতে কুমিল্লার মতো ঘটনা ঘটলেই তা দ্রুত বন্ধ করা যায়।
কুমিল্লার এ ঘটনা যদি সামাজিক মাধ্যম থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে বন্ধ করা যেতো, তবে দেশে এতোটা অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হতো না।
মানববন্ধনে বক্তারা ধর্মকে পুঁজি করে সংঘটিত সব ধরনের সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের দাবি জানান।
এসময় উপ-উপাচার্যদ্বয় অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া, অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক ড. আজিজুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক লিয়াকত আলী এবং প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ দুই শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
Development by: webnewsdesign.com