পূবাইলে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২

রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ৬:৪৪ অপরাহ্ণ

পূবাইলে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
apps

গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল থানার মাজুখান এলাকায় বাড়ির নারী মালিকের সহায়তায় ভাড়াটে এক কিশোরীকে (১৫) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কিশোরীর বাদী হয়ে শনিবার রাতে জিএমপির পূবাইল থানায় মামলা করে। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে। রবিবার সকালে তাদের গাজীপুর আদালতে পাঠানো হলে বিচারক জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা দুই ধর্ষক হলেন টঙ্গী পূর্ব থানার ফকির মার্কেট এলাকার মৃত আব্দুল আলিমের ছেলে আবু হানিফ (৪৬) ও মাদারীপুরের কালকিনি থানার পূর্ব এনায়েত নগর গ্রামের ইস্কান্দার আলী সরদারের ছেলে শাহ আলম (৩৭)।

জানা গেছে, পিতমাতাহীন দরিদ্র ওই কিশোরী দুই মাস আগে মাজুখানের সেলিনা বেগমের বাসা ভাড়া নিয়ে একটি টেইলার্সে কাজ করত। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ির মালিক সেলিনা জোরপূর্বক কিশোরীকে অন্য একটি রুমে ঢুকায়। আবু হানিফ ও শাহ আলম ওই রুমে অবস্থান করছিল। তারা রুমে দরজা আটকে জোরপূর্বক কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরবর্তী সময়ে হানিফ ও শাহ আলম রুম থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর আরো দুজন পালাক্রমে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এতে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেলিনা মেয়েটিকে রুম থেকে বের হতে বাধা দেয়। শনিবার রাতে কৌশলে বাসা থেকে বের হয়ে কিশোরী পূবাইল থানায় উপস্থিত হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করে। রাতেই অভিযান পুলিশ আবু হানিফ ও শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করে। তারা নাচ-গানের পেশায় জড়িত। নাচ-গানের সূত্র ধরে সম্পর্ক গড়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মেয়েদের শ্লীলতাহানি ঘটায় বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, বাড়ির মালিক সেলিনা মাদক কারবারি। তার বাড়ির রুম তিনটি। দুটিতে দুই মেয়ে নিয়ে তিনি থাকতেন। একটি মাদক কারবার ও সেবনের কাজে ব্যবহার করে। নির্যাতিতা অসহায় কিশোরী সেলিনার দুই মেয়ের সাথে থাকত।

পূবাইল থানার এসআই জামিল উদ্দিন রাশেদ জানান, বাড়ির মালিক সেলিনা খুব খারাপ প্রকৃতির নারী। অসহায় মেয়েটি না জেনে বুঝে সেলিনার বাসায় ভাড়াটে হয়ে ওঠে। এ ঘটনায় সেলিনাসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেছে কিশোরী। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Development by: webnewsdesign.com