স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমাদের পুলিশ হবে বিশ্বমানের পুলিশ। আমরা শুধু তা মুখে না, কাজেও তা দেখিয়েছি। সম্পূর্ণ পরিবর্তিত পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে স্বচ্ছ, আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তিন হাজার ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমরা যেমন যোগ্যদের পুলিশে চাকরি দিয়েছি তেমন তাঁরা যেনো সঠিক ও উন্নত প্রশিক্ষণ পায় সে ব্যবস্থাও করেছি।
২ (জানুয়ারি) রোববার দুপুরে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী সারদায় বাংলাদেশ পুলিশে নব-নিয়োগকৃত তিন হাজার ‘ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টবল’ ২০২১ ব্যাচের মৌলিক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ দমন থেকে শুরু করে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশের অগ্রণী ভূমিকা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, বঙ্গবন্ধুর সেই ‘জনতার পুলিশের’ কথা। পুলিশ ধীরে ধীরে সত্যিকার অর্থেই বঙ্গবন্ধুর ‘জনতার পুলিশ’ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ‘জনবান্ধব পুলিশে’ রুপান্তরিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আগামীর উন্নত বিশ্বে অপরাধের ধরণ বদলে যাচ্ছে। তাঁর সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের পুলিশও এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের সার্বিক নিরাপত্তা পুলিশ বাহিনীর উপরে ন্যস্ত। প্রতিটি পুলিশ সদস্য নিজের যোগ্যতা ও সামর্থ্য দিয়ে ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ মোকবেলা করবে।
বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমীর অধ্যক্ষ খন্দকার গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব জনাব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন ও ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ ড. বেনজীর আহমেদ।
প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান একাডেমীতে এসে পৌঁছালে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, একাডেমীর প্রিন্সিপ্যাল এবং উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
এর সকাল সাড়ে ১০ টায় একাডেমী চত্বরে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) ভবন ও শোরুম উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় সভানেত্রী, পুনাক বেগম জীশান মীর্জা।
উক্ত অনুষ্ঠানে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ রাজশাহী বিভাগ ও জেলার পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
Development by: webnewsdesign.com