পুঁজি হারিয়ে অস্তিত্ব সংকটে চট্টগ্রামের চামড়া ব্যবসায়ীরা। ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে কোটি কোটি টাকা বকেয়া আটকে পড়ায় ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন ৮০ শতাংশ আড়তদার। এ অবস্থায় ভর্তুকি ও ঋণ সহায়তার দাবি তাদের। চট্টগ্রামে ট্যানারি না মৌসুমি ও ছোট ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চামড়া সংগ্রহ, পরে লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাতসহ ঢাকায় পাঠানো সবই করেন আড়তদাররা। কিন্তু ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে টাকা আটকে পড়ায় পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব তারা।
চট্টগ্রামের আড়াইশ’ আড়তদারের মধ্যে টিকে আছে মাত্র ২৫ থেকে ৩০ জন। ২০১৪-১৯ সাল পর্যন্ত অন্তত বকেয়া ৩০ থেকে ৩৫ কোটি টাকা।বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সদস্য মো. ইউনুছ বলেন, ‘ব্যবসা চালিয়ে নিতে আমরা কোনো ধরনের সুবিধা পাচ্ছি না। দেশের চামড়া শিল্পে এত বড় অবদান রাখার পরও, আমাদের কপালে কিছুই জুটছে না।’বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘২০১৯ সালে চামড়া শিল্পে বড় রকমের পতন ঘটে। তখন থেকে ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে বড় অঙ্কের টাকা পাওনা রয়ে গেছে। অনেকেই টাকা দেবো দেবো করে দেননি।’
ঢাকায় ট্যানারি আছে ১৭০টি। চট্টগ্রামে এক সময় ২২টি থাকলেও টিকে আছে মাত্র একটি লিফ লেদার। তাই ঢাকার কাছে জিম্মি আড়তদাররা। এ খাতকে চাঙা করতে প্রণোদনার দাবি জানিয়েছে কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতি।এ ব্যাপারে বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মুসলিম উদ্দীন বলেন, ‘আমাদের কম সুদে প্রণোদনা হিসেবে ঋণ দিলে, ঘুরে দাঁড়ানোর একটা সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া আমাদের জন্য টিকে থাকা কষ্টসাধ্য একটা ব্যাপার।’২০২১ সালে চট্টগ্রামে ৩ লাখ ৪ হাজার পশুর চামড়া সংগ্রহ হয়েছে। এবার লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে তিন লাখ থেকে ৪ লাখ।
Development by: webnewsdesign.com