পাওনা টাকা চাওয়ায় চুরির অপবাদ দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

রবিবার, ০৫ মার্চ ২০২৩ | ৮:০১ অপরাহ্ণ

পাওনা টাকা চাওয়ায় চুরির অপবাদ দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন
পাওনা টাকা চাওয়ায় চুরির অপবাদ দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন
apps

সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার পীরের চক বাজারে গাড়ির ব্যাটারী চুরির অপবাদে মারধরের অভিযোগ করে শনিবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় সিলেট বিভাগীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন নাজমা বেগম, পিতা: হরমুজ আলী, স্বামী- আলী হুসেন, গ্রাম- চান্দলা, ৮নং তিলপাড়া ইউনিয়ন, উপজেলা- বিয়ানীবাজার, জেলা- সিলেট। সংবাদ সম্মেলনে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন নাজমা বেগমের দুই ছেলে সাইফুল ইসলাম (১২), মান্না (১০), দেবর দেলোয়ার হোসেন (৪৫) ও বোন সুমনা বেগম (২৩)। এসময় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাজমা বেগমের পক্ষে তাহার বোন সুমনা বেগম।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয় আমরা হতদরিদ্র অসহায় একটি পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। আমার স্বামী আলী হোসেন ২৬/০২/২০২৩ইং তারিখে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য বিয়ানীবাজার উপজেলার ৮নং তিলপাড়া ইউনিয়নের পীরের চক গ্রামের সুনাম উদ্দিনের সাথে মোবাইল ফোনে আলাপ করেন। আলাপকালে সুনাম উদ্দিন আমার স্বামী আলী হোসেন কে জানান পীরের চক এসে তার কাছে থেকে টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য। সেই লক্ষ্যে আমার স্বামী পীরের চক বাজারে যান। সেখানে যাওয়ার পর সুনাম উদ্দীন আমার স্বামী আলী হোসেনকে টাকা না দিয়ে সময় কালক্ষেপন করতে থাকেন।

এক পর্যায়ে পীরের বাজারের অদূরে পীরের চক সামাদের বাড়ির পিছনের রাস্তায় নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পাওনা টাকা না দিয়ে গাড়ির ব্যাটারী রাস্তায় রেখে উপরোক্ত ব্যক্তিগণ আমার স্বামী আলী হোসেনকে গাড়ির ব্যাটারী চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে মাথা ফাটিয়ে আটকে রাখে এবং তার সাথে আমার ভাই শাহেদ ও সালেককে ব্যাটারী চুরির সাথে জড়িত আছে বলে চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু আমার স্বামী তাদের জোরপূর্বকভাবে শিখানো মিথ্যা নাম বলেননি। বরং আমার স্বামী বলেন এখানে তো চুরির কোন ঘটনা ঘটেনি তাহলে আমাকে কেন আটকে রাখছেন আবার মিথ্যা ভাবে শাহেদ ও সালেক এর নাম কেন বলব? এই কথা বলার সাথে সাথে সুনাম উদ্দিন, আনা মিয়া (তিলপাড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য) এদের নেতৃত্বে রুহেল আহমদ, মারুফ আহমদ, সহির উদ্দিন, সহিদ আহমদ, জালাল মিয়া, বাদশা মিয়া সহ অজ্ঞাত ১২/১৩ জন তারা একত্রে আমার স্বামীকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে।

কিন্তু আমার স্বামী আলী হোসেন তাদের শিখানো কথা না বলার কারণে আমার স্বামীকে ব্যাটারী চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেয়। পরের দিন ২৭/০২/২০২৩ইং তারিখে মাননীয় আদালতে গিয়ে মামলার নকল তোলে দেখি যে, গাড়ীর ব্যাটারী চুরির অপবাদ দিয়ে চক্রান্ত করে আমার স্বামী আলী হোসেনকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল তাহা উল্লেখ না করে অন্য একটি গরু চুরি মামলায় জনৈক হাজী শফিক উদ্দিন, পিতা- মৃত সজ্জাদ আলী, সাং- কোনাগ্রাম, ইউ/পি-মুড়িয়া, উপজেলা-বিয়ানীবাজার, জেলা-সিলেট, সেই মামলায় আসামী করে যাহা মামলা নং-০৩, তারিখ: ০৫/০২/২০২৩ ইং চক্রান্তমূলকভাবে আসামী করা হয়। সেই ঘটনায় আমার স্বামী আলী হোসেনের কোনভাবেই যোগসাজস নেই। উল্লেখ্য যে, আনা মিয়া (তিলপাড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য), রুহেল আহমদ, মারুফ আহমদ, সহির উদ্দিন, সহিদ আহমদ, জালাল মিয়া, বাদশা মিয়া গং আমাকে বসত বাড়ি থেকে জোর পূর্বক উচ্ছেদ এর প্রতিবাদে আমার ভাই শাহেদ আহমদ, ২৪/১২/২০২২ইং তারিখে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। এরই জের ধরে তাদের সাথে আমাদের বিরোধ চলে আসছে।

নাজমা বেগম আরো বলেন, সংবাদ সম্মেলন করায় এখন আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি। অন্যদিকে আমার স্বামীকে জেলে পাঠানো হয়েছে। আজ আপনাদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্ব-রাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের আইজিপির নিকট আকুল আবেদন করছি। সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে আমাদের এই হতদরিদ্র অসহায় পরিবারকে বাঁচাতে আপনাদের সহানুভূতি খুবই প্রয়োজন।

Development by: webnewsdesign.com