ভারতের পশ্চিমবঙ্গে চতুর্থ শ্রেণির ১২ শূন্যপদে এমএ-এমবিএ করাসহ ২২০০ প্রার্থীর আবেদন!

সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১:৫২ অপরাহ্ণ

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে চতুর্থ শ্রেণির ১২ শূন্যপদে এমএ-এমবিএ করাসহ ২২০০ প্রার্থীর আবেদন!
apps

পশ্চিমবঙ্গে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের পরীক্ষায় বসলেন এমএ, বিএড, গ্র্যাজুয়েট— এমনকি এমবিএ ও বিবিএ পাস করা প্রার্থীরাও। জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের ১২ শূন্যপদে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের পরীক্ষায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ২২০০ আবেদনপত্র জমা দেন। আবেদনকারীদের মধ্যে বেশিরভাগই উচ্চ শিক্ষিত। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার। রোববার শহরের ছটি জায়গায়— ফণীন্দ্রদেব ইনস্টিটিউট, আনন্দ মডেল হাইস্কুল, সোনাউল্লা হাইস্কুল, সেন্ট্রাল গার্লস হাইস্কুল, কদমতলা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এবং আনন্দচন্দ্র কলেজ অব কমার্সে এ নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে।

কেন্দ্রগুলোতে ১৫ হাজার ১৩ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন বলে জানান ব্যাংকের মুখ্য নির্বাহী আধিকারিক তপন বন্দ্যোপাধ্যায়। জলপাইগুড়ি ও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোর পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকেও পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন অনেকেই। অঙ্ক, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞানের পরীক্ষা হয়েছে। সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন ছিল— পৃথিবীর উষ্ণতম মহাদেশ কোনটি? ইন্দিরা গান্ধীর সমাধিক্ষেত্রের নাম কী? ভারতের কোথায় প্রবাল প্রাচীর দেখতে পাওয়া যায়?

ধূপগুড়ি থেকে আসা মোনালিসা ঘোষ বাংলায় এমএ করে বিএড করেছেন। তিনি বলেন, ‘চাকরি কোথায়! চাকরির জন্য হন্যে হতে হচ্ছে। তাই এখন আর শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা না ভেবে যে কোনো চাকরির পরীক্ষাতেই বসছি।’শিলিগুড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন দেবাশীস বর্মণ। এমএ পাস করে তিনি গবেষণা করছেন। তারও একই কথা— ‘শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা ভেবে এখন আর কোনো লাভ নেই।’ ব্যাংকের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘শিক্ষিত তরুণরা সংখ্যায় বাড়ছে প্রতিদিন। কর্মসংস্থানের তেমন সুযোগ না পেয়েই উচ্চশিক্ষিতরাও এখন যে কোনো পদের জন্য আবেদন করছেন।

 

Development by: webnewsdesign.com