পরমাণু চুক্তি নিয়ে জার্মানিতে নতুন করে কূটনৈতিক আলোচনা

মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর ২০২০ | ৪:০২ অপরাহ্ণ

পরমাণু চুক্তি নিয়ে জার্মানিতে নতুন করে কূটনৈতিক আলোচনা
সংগৃহীত ছবি
apps

পরমাণু চুক্তি নিয়ে জার্মানিতে নতুন করে কূটনৈতিক আলোচনা শুরু হয়েছে। সোমবার (২৩ নভেম্বর) জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাসের সঙ্গে বার্লিনে বৈঠকে করলেন ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। সেখানে তারা ইরান নিয়ে নিজেদের মতামত স্পষ্ট করেন।

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অ্যামেরিকায় জো বাইডেন ক্ষমতায় এলে ইরান নিয়ে মার্কিন নীতি বদল হতে পারে। ফলে বাইডেনের আমলে নতুন করে পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে বলেই ইউরোপের বিশ্বাস।২০১৫ সালে জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য সহ ইউরোপের একাধিক দেশ, অ্যামেরিকা এবং ইরানের পরমাণু চুক্তিতে সই হয়েছিল।

সেখানে ইরানকে বলা হয়েছিল, পরমাণু পরীক্ষা করা গেলেও পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা যাবে না। শুধু তাই নয়, পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম লাগে, তাও এক সঙ্গে ইরান মজুত করতে পারবে না। সেই চুকতর পর বার বার ইরানের ওপর অভিযোগ আনা হয়, তারা বার বার সেই চুক্তি ভঙ্গ করেছে।

গোপনে তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরির পরীক্ষা চালাচ্ছে বলেও বিভিন্ন সময় দাবী করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এরপর ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায় এবং ইরানের উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। করোনা কালে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ইরানের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার আবেদন জানালেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন তা মানতে রাজি হয়নি। বরং ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরো তীব্র করার নির্দেশনা দেয় মার্কিন প্রশাসন। কিছু দিন আগেই মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানায়, ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন ট্রাম্প।

এই পরিস্থিতিতে শক্তির ভারসাম্য নষ্ট হওয়ায় ইরানের পরমাণু চুক্তিতে যথেষ্ট সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশ সে বিষয়ে আলোচনা করছে এবং নতুন একটি পথ বের করার চেষ্টায় আছে। সোমবার সে বিষয়েই আলোচনায় বসেছিলেন তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। সেখানে নতুন করে ইরানের উপর চাপ দেওয়ার প্রস্তাব নেওয়া হয়। ইরান যাতে পরমাণু চুক্তি মান্য করে, তা নিয়ে তাদের উপর চাপ দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে একই সঙ্গে তাঁদের বক্তব্য, মার্কিনিদের ইরান নীতি পরিবর্তন করলে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের আশা, বাইডেন ক্ষমতায় এলে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ইরান নীতির পরিবর্তন হবে।

বস্তুত, ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির বেশ কিছু বিষয় নিয়ে নিজের বিরোধিতার কথা আগেই জানিয়েছিলেন নবনির্বাচিত বাইডেন। নির্বাচনী প্রচারেও তিনি বিষয়গুলো এনেছেন। ডেমোক্র্যাট অধ্যুষিত মার্কিন কংগ্রেসও করোনাকালে ইরানের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলার কথা উত্থাপিত হয়েছিল। ফলে, বাইডেন ক্ষমতায় এসে সে কাজটি করবেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Development by: webnewsdesign.com