পটুয়াখালীতে ছাত্রলীগের পদ পেতে বিতর্কিতদের দৌড় ঝাপ

বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ৭:৫৬ অপরাহ্ণ

পটুয়াখালীতে ছাত্রলীগের পদ পেতে বিতর্কিতদের দৌড় ঝাপ
apps

দক্ষিন জনপদের ছাত্র রাজনীতির অন্যতম জেলা পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের কমিটি গত বছরের মার্চে ঘোষণার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থীতি জন্য সম্ভব হয়নি। গত (১০.০২.২০২১ইং) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি/সম্পাদকের স্বাক্ষিরত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় এবং ১০ কার্যদিবসের মধ্য নতুন পদপ্রার্থীদের জিবনবৃত্তান্ত জমা দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।এই খবরে জেলা ছাত্রলীগের প্রায় এক ডজন পদপ্রত্যাশী দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন উপর মহলে। জেলা কমিটির সভাপতি-সম্পাদক হতে জেলা পর্যায়ের জ্যেষ্ঠ নেতাদের মাধ্যমেও চলছে তদবির বাণিজ্য। তবে পদপ্রত্যাশীদের তালিকায় যাদের নাম শোনা যাচ্ছে- তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে নানাবিধ অভিযোগ এবং অধিকাংশের নাম রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তালিকায়। আবার কেউ কেউ নানা অভিযোগে চার্জশিটভুক্ত আসামী। পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, বিগত দিনে ছাত্রলীগের কার্যক্রম নিয়ে কিছু ক্ষোভ থাকলেও নতুন কমিটিতে জামায়াত-বিএনপি, সন্ত্রাসী, মাদকাসক্তরা কোনোভাবে যেন ছাত্রলীগের স্থান না পায়, সে জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি/সম্পাদক বলা হয়েছে। আমরা পটুয়াখালীতে সত্যিকারে মুজিব আদার্শ বুকে লালনকারী ছাত্রলীগ কমিটি চাই।

সম্প্রতি জেলা আওয়ামী লীগের এক জ্যেষ্ঠ নেতাকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করায় আলোচনায় আসেন জেলা ছাত্রলীগ নেতা ছালাউদ্দিন হীরা। তৎকালীন সরকারবিরোধী বিএনপির জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনে অংশ নিয়ে কয়েকটি আলোচিত ঘটনায় পুলিশের তালিকাভুক্ত হয় হীরা। এছাড়াও যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় চার্জশিটভুক্ত হীরা। ২০১৩ সালে পটুয়াখালীর এক পুলিশ কর্মকর্তার মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে পোড়ানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিস্ফোরক আইনে মামলাসহ একাধিক মামলার চার্জশিটে হীরার নাম রয়েছে।

পটুয়াখালী সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্নেহভাজন বাহার উদ্দিন মোল্লার ছেলে ফায়জুল হক মুনসেফ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে লবিং চালাচ্ছেন। জেলা আওয়ামী লীগের এক জ্যেষ্ঠ নেতার মাধ্যমে পুরোদমে লবিং চলছে তার। ফায়জুল হক মুনসেফ পারিবারিকভাবে বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় সম্প্রতি তাকে বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা পৌর কমিটি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সভাপতি পদপ্রত্যাশী সবুর খানের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৩৭৯ ধারায় মামলা রয়েছে। সভাপতি পদপ্রত্যাশী মেহেদী হাসান কোয়েলের বিরুদ্ধে মাদকসেবী, মাদকব্যাবসায়ী, বিবাহীত ও জেলা আওয়ামী লীগের অফিস ভাংচুরের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও মেহেদী হাসান কোয়েলের নাম ১৪৪/১০ নম্বর মামলার চার্জশিটে রয়েছে। সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী তানভীর হাসান আরিফের নাম শোনা যায়। আরিফের বাবা জামান গাজী জেলা বিএনপির ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সম্পাদকসহ পারিবারের সব সদস্য বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।সভাপতি পদপ্রত্যাশী আশিষ চন্দ্র ঘোষের বিরুদ্ধে ঠিকাদারী ও বয়স (আইডি নং- ১৯৮৯৭৮২৯৫০৩১২৯৬৯৫) বেশির অভিযোগ রয়েছে।সভাপতি পদপ্রত্যাশী মো: রকিবুল হাসানের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের পঠনতন্ত্র হিসাবে বয়স (আইডি নং- ১৯৯০৭৮১৯৫৩৩০০০০২৮) বেশির অভিযোগ রয়েছে।সভাপতি পদপ্রত্যাশী বেলাল হোসেন পাবেল এর দাদা রাজাকার ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়াও সভাপতি-সম্পাদক পদে হৃদয় আশিষ, আবুবকর সিদ্দিক, মেহেদী হাসান ইমন, জাহিদুল ইসলাম, আরিফ আল-আমিন সহ অন্তত একডজন পদপ্রত্যাশী দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।

Development by: webnewsdesign.com