পটুয়াখালীর পেট্রল ঢেলে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা, স্বামী ও ননদ গ্রেফতার

সোমবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ | ৮:৩৭ অপরাহ্ণ

পটুয়াখালীর পেট্রল ঢেলে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা, স্বামী ও ননদ গ্রেফতার
apps

পটুয়াখালীর দুমকিতে মুন্নি আক্তার (২৬) নামে দুই সন্তানের জননী অগ্নিদগ্ধে নিহতের ১৫ দিন পরে নিয়মিত হত্যা মামলায় অভিযুক্ত স্বামী মনিরুল ইসলাম ওরফে লিটন সর্দার (৪৭) ও ননদ ময়ুরী বেগমকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রবিবার রাতে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের তালুকদারের হাট এলাকার গ্রামের বাড়ি থেকে ননদ ময়ুরী বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার শাহবাজপুর এলাকার হামদু মিয়ার বাড়ি থেকে মনিরুল ইসলাম ওরফে লিটন সর্দারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলার অপর ২ আসামি দেবর রিপন সর্দার ও ননদ সালমা বেগম পালাতক রয়েছে।

পুলিশ ও মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৩ জানুয়ারি দুপুরে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের তালুকদারের বাজার এলাকার গাড়ি চালক মনিরুল ইসলাম ওরফে লিটন সর্দারের স্ত্রী মুন্নি আক্তারের (২৬) রহস্যজনক অগ্নিদগ্ধে মুমূর্ষু অবস্থায় উপজেলা হাসপাতাল হয়ে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে পরের দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করার পর ৬ জানুয়ারি তার মৃত্যু ঘটে। ময়নাতদন্তের পর লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার শাহবাজপুর এলাকায় বাবা বাড়িতে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় পারিবারিক কলহে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা বলে প্রচার করছিল স্বামী লিটন সর্দার ও তার পরিবার। অপরদিকে নিহতের বড়ভাই হামদু মিয়া তার বোনকে গায়ে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী লিটন সর্দার, দেবর রিপন সর্দার, দুই ননদ সালমা বেগম ও ময়ুরী বেগমকে আসামি করে গত ১৮ জানুয়ারি দুমকি থানায় নিয়মিত হত্যা মামলা দায়ের করেন।

দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুস সালাম আসামি গ্রেফতারের সত্যতা স্বীকার করে জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবুল কালাম সরাইল থেকে গ্রেফতার আসামি লিটন সর্দারকে নিয়ে দুমকির পথে রয়েছে। অপর আসামি ময়ুরীকে সোমবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এজাহারনামীয় অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Development by: webnewsdesign.com