নারায়ণগঞ্জে পাইকারি মাছ বাজারে সব ধরনের মাছের সরবরাহ বাড়ায় দামও কমেছে। গত কয়েক দিন ধরে আড়তগুলো বড় আকৃতির ইলিশে ভরপুর। তাই ইলিশ কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন ক্রেতারা।
নারায়ণগঞ্জ শহরে শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম তীরে তিন নম্বর ঘাটে এ জেলার সবচেয়ে বড় পাইকারি মাছ বাজারটি পরিচালিত হচ্ছে শত বছর ধরে। নদীপথে পরিবহনের সুবিধার কারণে ব্রিটিশ আমলে এখানে মাছ বাজারটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
নদ-নদী, খাল-বিল ও হাওর অঞ্চলের সব ধরনের তাজা মাছ ছাড়াও বিভিন্ন প্রকারের সামুদ্রিক মাছ বিক্রি হয় এখানে। ভোর থেকে জমে উঠে এই বাজার। বেচাকেনা চলে বেলা ১১টা পর্যন্ত। মূলত এই বাজার থেকেই মাছ সরবরাহ হয়ে থাকে নগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার বাজারগুলোতে।
রুই, কাতলা, ইলিশ, বোয়াল, বাঘাইড়, রিটা ও কার্বুসহ ছোট-বড় সব ধরনের দেশি মাছ পাইকারি মূল্যে বেচাকেনা হয়। বিশেষ করে আড়াই থেকে তিন কেজি ওজনের পদ্মার ইলিশ এখন সবার হাতের নাগালে। মাঝারি আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৭শ’ থেকে হাজার টাকা মূল্যে। আর বড় আকৃতির ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে কেজি প্রতি ১২শ’ থেকে ১৫শ’ টাকায়।
ফরমালিনমুক্ত সব ধরনের মাছ পাওয়া যায় বলে অধিকাংশ মানুষ এই বাজারে মাছ কিনতে আসেন। ক্রেতারা বলছেন, এখানে টাটকা নদীর মাছ পাওয়া যায়। কোন ধরনের ফরমালিন ও জেলিমুক্ত মাছ কিনছেন। জেলা মৎস্য অধিদপ্তর নিয়মিত নজরদারি করায় এখানে লাভবান হচ্ছেন ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই।
নারায়ণগঞ্জ ৩নং মাছ ঘাট মৎস্য আড়তদার সমবায় সমিতি সহসম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, মৎস্য অধিদপ্তরের লোকজন এসে সবসময় মনিটরিং করতেছে। ফরমালিন যুক্ত মাছ বিক্রি হচ্ছে কিনা তার তদারকি করতেছে।
এখানে শতাধিক আড়তদার ও হাজারের বেশি পাইকারি ব্যবসায়ী বংশ পরম্পরায় মাছের ব্যবসা করছেন। প্রতিদিন এই বাজারে আড়াই থেকে তিন কোটি টাকার মাছ বিক্রি হয়।
Development by: webnewsdesign.com