নারী পুলিশকে ধর্ষণের অভিযোগ পুলিশ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে

বুধবার, ০৭ অক্টোবর ২০২০ | ১:০৩ অপরাহ্ণ

নারী পুলিশকে ধর্ষণের অভিযোগ পুলিশ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে
apps

নারী কনস্টেবলকে বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় পুলিশ পরিদর্শক আবু নাসের রায়হানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে নীলফামারীর সৈয়দপুর সার্কেলের অ্যাডিশনাল এসপির কার্যালয়ে ভিকটিমের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। ওই ওসির বিরুদ্ধে ভিকটিমের অভিযোগ, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দিনের পর দিন তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।

অভিযোগে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর পুলিশ কনস্টেবল পদে নীলফামারী পুলিশ লাইনে যোগদান করেন ওই নারী পুলিশ সদস্য। এরপর থেকেই নীলফামারী রিজার্ভ অফিস ইন্সপেক্টর (বর্তমানে বরিশাল ডিআইজি অফিসে ওসি তদন্ত হিসেবে কর্মরত) আবু নাসের রায়হান প্রায়ই তাকে উত্যক্ত করতেন এবং কুপ্রস্তাব দিতেন।

বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে অশ্লীল ছবি দেখিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার প্রস্তাব দিতেন আবু নাসের রায়হান। এরই একপর্যায়ে ২০১৬ সাল থেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং তাদের এ সম্পর্কের কথা জানিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে আগের স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করেন। স্বামীকে তালাক দেয়ার পরও দীর্ঘদিন বিয়ে না করায় চাপ দিলে একদিন হুজুর প্রকৃতির একজন লোক ডেকে এনে বিয়ে করেন। কিন্তু কাজীর মাধ্যমে রেজিস্ট্রি করার কথা বললে আবু রায়হান বলেন, আমরাতো আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করেছি, রেজিস্ট্রির প্রয়োজন নেই। এভাবে বিয়ের নামে দীর্ঘদিন থেকে ধর্ষণ করে আসছিল।

বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগী নারী পুলিশ সদস্যের পরিবারের লোকজন বিয়ে রেজিস্ট্রি করার চাপ দিলে রায়হান কালক্ষেপণ করতে থাকেন এবং উল্টো তাদের শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন। পরে কৌশল করে ভিকটিমকে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পুলিশ লাইনে এবং নিজে বরিশাল ডিআইজি অফিসে বদলি হয়ে যান।

এ পর্যায়ে ভুক্তভোগী প্রথমে বরিশাল ডিআইজি বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন এবং নিজ জেলা ঠাকুরগাঁয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ধর্ষণের মামলা করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল ডিআইজি তদন্তের নির্দেশ দিলে মঙ্গলবার সৈয়দপুর সার্কেল কার্যালয়ে ভিকটিমকে ডেকে নিয়ে তার জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।

ভিকটিমের জবানবন্দি গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল। তিনি জানান, এ সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত চলছে।

Development by: webnewsdesign.com