নারায়ণগঞ্জে রপ্তানি পোশাক চোর চক্রের ৮ সদস্য গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ৩:২৮ অপরাহ্ণ

নারায়ণগঞ্জে রপ্তানি পোশাক চোর চক্রের ৮ সদস্য গ্রেফতার
apps

নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর বিসিক থেকে রপ্তানি করা গার্মেন্টস পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যান হতে পোশাক চুরির সংঘবদ্ধ চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার
করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। এসময় কোটি টাকার পোশাকসহ একটি কাভার্ডভ্যান উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র‍্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম।

বৃহস্পতিবার ভোরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন কাঁচপুর শিল্পনগরী এলাকায় প্রিমিয়াম বেভারেজ ফুড অ্যান্ড ড্রিংকিং ওয়াটার লিমিটেড ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালিয়ে রপ্তানি করা পোশাকভর্তি কাভার্ডভ্যান হতে অভিনব কায়দায় পোশাক চুরির সময় সংঘবদ্ধ চোর চক্রের আটজন সক্রিয় সদস্যকে হাতেনাতে আটক করে র‍্যাব।

গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, মো. লিটন (২০), মো. দুলাল (৩৫), মো. লোকমান চৌকিদার, মো. আলাউদ্দিন (৩১), মো. শাকিল (১৭), মো. মোস্তফা (৪১), মো. মিনহাজ আহম্মেদ (৩৫) এবং মো. রুবেল(২৪)। এ সময় তাদের কাছ থেকে কোটি টাকার রপ্তানিজাত চোরাই পোশাকসহ একটি কাভার্ডভ্যান উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন অপটিমাম ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেড ফ্যাক্টরির রপ্তানি করা পোশাকভর্তি কাভার্ডভ্যান শিপমেন্টের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে যাওয়ার পথে কাঁচপুর বিসিক এলাকায় অবস্থিত প্রিমিয়াম বেভারেজ ফুড অ্যান্ড ড্রিংকিং ওয়াটার লিমিটেড ফ্যাক্টরির ভেতর কাভার্ডভ্যান রেখে ওই ফ্যাক্টরির কিছু অসাধু কর্মচারী এবং কাভার্ডভ্যানের অসাধু চালক ও হেলপারের যোগসাজশে একটি চোরচক্র পোশাক চুরি করতেন।

তারা সুবিধা মতো স্থানে গিয়ে শিপমেন্টের জন্য প্রস্তুত করা পোশাকভর্তি কার্টন খুলে অভিনব কায়দায় প্রতিটি কার্টন থেকে ১০ থেকে ২০টি করে পোশাক চুরি করতেন। তাদের এ সব চুরির ফলে গার্মেন্টস মালিকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতো এবং চাহিদা ও অর্ডার অনুযায়ী শিপমেন্ট দিতে না পারায় বিদেশি ক্রেতাদের কাছে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতো।

র‌্যাব-১১ এর একটি বিশেষ দল গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়ে রপ্তানিকৃত পোশাক চুরির সময় কোটি টাকার চোরাই পোশাকভর্তি একটি কাভার্ডভ্যান উদ্ধারসহ ওই আসামিদের হাতে-নাতে আটক করতে সক্ষম হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা স্বীকার করেছেন, তারা সংঘবদ্ধ চোরাই চক্রের সক্রিয় সদস্য। ভবিষ্যতে এ চোরচক্রের পলাতক সদস্যদের আইনের আওতায় আনতে র‌্যাবের গোপন অনুসন্ধান ও কঠোর নজরদারি অব্যাহত থাকবে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে জানায় র‍্যাব।

 

বাংলাদেশ মিডিয়া/এসআরসি-১১

Development by: webnewsdesign.com