প্রতি মুহূর্তের আনুষ্ঠানিকতার বেড়াজাল আর নিয়মের কড়াকড়ি থেকে মুক্ত হতে রাজপদ ছেড়ে দিয়েছেন প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান। তাতে অবশ্য পাপারাজ্জিদের ওঁত্ পাতা বন্ধ হয়নি মোটেই। কারণ একটাই, রাজপদ ছাড়লেও হ্যারি যে ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য এবং মেগান যে তার স্ত্রী, সেই সত্য পাল্টায়নি। তাই তাদের তথ্য পেতে কানাডার নির্জন নর্থ সানিশ এলাকায় হানা দিয়েছে পাপারাজ্জির দল।
ক্যামেরা নিয়ে ধাওয়া করা সাংবাদিকদের খসানোর জন্য দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাতে গিয়ে ১৯৯৭ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন হ্যারির মা প্রিন্সেস ডায়ানা। সেই থেকে সাংবাদিকদের প্রতি হ্যারির ক্ষোভ। তিনি নিজেও ক্ষোভের কথা স্বীকার করেছেন। সেই সাংবাদিকদের নজর থেকে বাঁচতেই কানাডায় নির্জনবাস যে বেছে নিয়েছেন হ্যারি-মেগান, তেমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
কানাডার ভ্যাংকুভারে সমুদ্র তীরবর্তী শান্ত শহরে এই দম্পতি শান্ত জীবন যাপন করতে চাইলেও পাপারাজ্জিরা তাতে বাধ সাধছে। পরিবারটির ছবি আর ভিডিওচিত্র পেতে তারা যে যেভাবে পেরেছে, আশপাশে ঘাঁটি গেড়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা সেখানে হানা দিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার চ্যানেল সেভেন শীর্ষক সংবাদমাধ্যমের উত্তর আমেরিকা প্রতিনিধি অ্যামেলিয়া ব্রেস জানান, সাধারণত তিনি লস অ্যাঞ্জেলেসে দায়িত্ব পালন করেন। এখন তাকে ভ্যাংকুভার দ্বীপে পাঠানো হয়েছে। হ্যারি-মেগানের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, রাজপদ থেকে তাদের সরে যাওয়ার মানে এই নয় যে, জনতার চোখ থেকে তারা পুরোপুরি আড়াল হয়ে গেছেন।’ বরং তারা এখন কেমন জীবন যাপন করছে, সে ব্যাপারে বিশ্ববাসী আগ্রহী।
উৎসুক বিশ্ববাসীর কৌতূহল মেটাতে গিয়ে এলাকার শান্তি নষ্ট হোক, সেটা মোটেই চায় না নর্থ সানিশবাসী। পাপারাজ্জিদের বাধা দিতেও ছাড়ছে না তারা। ফলে স্থানীয় পার্কে মেগানে বেড়ানোর সময় তার ছবি তুলতে গিয়ে এলাবাসীর তোপের মুখে পড়েন এক আলোকচিত্রী। এই ঘটনার একটা ভিডিওচিত্র স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।
Development by: webnewsdesign.com