দৌলতপুর সীমান্তে গুলি করে বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেল বিএসএফ

মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ৭:৫৪ অপরাহ্ণ

দৌলতপুর সীমান্তে গুলি করে বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেল বিএসএফ
apps

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে গুলি করে গাজী (৩০) নামে এক বাংলাদেশি যুবককে বিএসএফ ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত গাজী সলিমপাড়া গ্রামের নিয়ামত আলীর ছেলে। তবে স্থানীয়দের দাবি, বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন গাজী। ঘটনার পরপরই গাজীর মরদেহ নিজেদের ক্যাম্পে নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা।

অন্যদিকে বিজিবি বলছে, গাজীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গুলিতে গাজী আহত হয়ে বিএসএফের তত্ত্বাবধানে ভারতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।স্থানীয়রা জানান, গাজী, রুবেল, সাহাবুলসহ সলিমপাড়া গ্রামের কয়েকজন কৃষক মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সীমান্তের বাংলাদেশি ভূখণ্ডে ঘাস কাটতে যান। এ সময় ভারতের জলঙ্গী থানার মুরাদপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের ওপর অতর্কিত গুলি ছুড়লে গাজী গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় রুবেলসহ অন্যরা পালিয়ে আসেন। পরে গুলিবিদ্ধ গাজীকে নিজ ক্যাম্পে নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা। গাজীর সঙ্গে ঘাস কাটতে যাওয়া রুবেল জানান, বাংলাদেশি সীমান্তে তারা ঘাস কাটছিলেন। বিএসএফের গুলিতে গাজী মারা গেছেন। পরে গাজীর মরদেহ টানতে টানতে নিজ ক্যাম্পে নিয়ে যায় বিএসএফ।

 

সলিমপুর গ্রামের বাসিন্দা কিরণ জানান, গাজী কোন চোরাকারবারীর সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তিনি কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গাজীর মরদেহ কোথায় রাখা আছে সে সম্পর্কে স্বজনরা তথ্য নিচ্ছেন। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাদের সঙ্গে থাকা সাহাবুল নামে আরেক বাংলাদেশি নিখোঁজ রয়েছেন। বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি একজনের মারা যাওয়ার কথা লোকমুখে শোনা যাচ্ছে। বিভিন্ন ভাবে খোঁজ নেয়া হয়েছে। তবে কোন বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে সলিমপাড়া সীমান্তে বিজিবি সদস্যরা ঘটনার প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করছেন।

 

তিনি বলেন, বিএসএফের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বিজিবিকে জানিয়েছে, সীমান্তের ওপারে ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফের সঙ্গে চোরাকারবারীদের গুলিবিনিময় হয়। এ সময় বিএসএফের ছোড়া গুলিতে ভারতীয় ৩ চোরাকারবারী মারা গেছেন। সেখানে থাকা এক বাংলাদেশি নাগরিকের পায়ে গুলি লাগলে বিএসএফ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দিচ্ছেন।

Development by: webnewsdesign.com