দেশে ১১ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৪৪ কোটি ডলার : অর্থমন্ত্রী

রবিবার, ২৫ জুন ২০২৩ | ৮:০৭ অপরাহ্ণ

দেশে ১১ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৪৪ কোটি ডলার : অর্থমন্ত্রী
দেশে ১১ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৪৪ কোটি ডলার : অর্থমন্ত্রী
apps

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, চলতি অর্থবছরের (২০২২-২৩) গত ১১ মাসে (জুলাই-মে) রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৯৪৪ কোটি ২০ লাখ ডলার। এটা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১.১ শতাংশ বেশি বলেও জানান তিনি। রবিবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। রবিবারের প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়। বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গার এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, সঞ্চয়পত্রের লভ্যাংশের ওপর ও প্রাইজবন্ডের পুরস্কারের ওপর আগে থেকেই উৎসে আয়কর ধার্য আছ। তবে এর ফলে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও প্রাইজবন্ড বিক্রি কমেনি। উৎসে আয়কর প্রত্যাহারের কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই।

আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিগত অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ছিল ৯৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। স্থানীয় পর্যায়ে মূসকের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ছিল ৮৪ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং আয়কর ও ভ্রমণ কর পর্যায়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ছিল ৯৭ দশমিক ১৭ শতাংশ। বৈশ্বিক মহামারির কারণে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কার্যক্রম সীমিত হওয়ায় তিন হাজার ৮৯৬ কোটি, আমদানি ও স্থানীয় পর্যায়ে কিছু পণ্যে কর অব্যাহতি দেওয়ায় ৩৪৪ কোটি, বিদ্যুৎ সরবরাহ খাতে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫০৬ কোটি, জ্বালানি সংকটের কারণে সিরামিক কিছু গ্রুরুত্বপূর্ণ খাতের উৎপাদন ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কমে যাওয়ায় রাজস্বের পরিমাণ কমেছে।
মুস্তফা কামাল জানান, করোনা পরবর্তী সময়ে আমদানি পর্যায়ে কাঁচামালের মূল্য ও ফ্রেইট চার্জ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এতে কাস্টম ডিউটি বাড়লেও স্থানীয় পর্যায়ের রেয়াতের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় রাজস্ব কমেছে। ব্যাংকিং সেবাখাতে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় এক হাজার ৪৮২ কোটি কম রাজস্ব আদায় হয়েছে।

এছাড়াও কয়েকটি খাত যেমন প্রেট্রোলিয়াম, অয়েল অ্যান্ড লুব্রিক্যান্ট খাতে ২৮৮ কোটি, সিগেরেট খাতে সাত হাজার ৯৩৩ কোটি টাকা, মোবাইল ফোন খাতে দুই হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা কম রাজস্ব আয় রয়েছে। কোভিড পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশ্বব্যাপী সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ও ব্যয় সংকোচন নীতি ইত্যাদি কারণে আমদানির পরিমাণ কমে যাওয়ায় করের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি বলে জানান অর্থমন্ত্রী।

Development by: webnewsdesign.com