দেশে গত এক বছরের ব্যবধানে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে গড়ে ৩৩ শতাংশ। একই সময়ে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১ শতাংশ। এর ফলে দরিদ্র ভোক্তাদের খাদ্য কেনার সক্ষমতা কমেছে।
মঙ্গলবার (৯ মে) প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে। মার্কিন সরকারের বৈদেশিক সাহায্যদাতা সংস্থা ইউএসএআইডির অর্থায়নে জরিপটি পরিচালিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৯ শতাংশে উঠেছিল। এরপর তা কমতে শুরু করে। গত জানুয়ারি পর্যন্ত খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমেছে। তবে ফেব্রুয়ারি ও মার্চে আবার বেড়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে ৮ দশমিক ১ শতাংশে নেমেছিল। গত জানুয়ারি পর্যন্ত তা কমে ৭ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে যায়। তবে গত ফেব্রুয়ারিতে এই হার আবারও বেড়ে হয় ৮ দশমিক ১ শতাংশ। মার্চে তা আরও বেড়ে ৯ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, যেসব দেশ খাদ্যসামগ্রী আমদানি করে সেসব দেশে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। কারণ, আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। আর বেশি দামে খাদ্য কেনায় ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার মানও কমছে। এর ফলে দুইদিক থেকেই মূল্যস্ফীতি হচ্ছে। যা ভোক্তার ওপর চাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে। এর প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ছে দরিদ্র শ্রেণির ভোক্তারা।
Development by: webnewsdesign.com