দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কুড়িগ্রামে ৫ দশমিক ৫ডিগ্রি সেলসিয়াস

তীব্র শৈত্য প্রবাহ ও হিমেল হাওয়ায় চরম দূর্ভোগে জনজীবন

রবিবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২১ | ২:০৭ অপরাহ্ণ

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কুড়িগ্রামে ৫ দশমিক ৫ডিগ্রি সেলসিয়াস
(ছবি- সংগৃহীত)
apps

তীব্র শৈত্য প্রবাহ ও হিমেল হাওয়ায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে উত্তরের জনপদ কুড়িগ্রামের জনজীবন। গত ১ সপ্তাহ ধরে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ডিগ্রি সেলসিয়াসের কোটায় থাকার পর আজ হঠাৎ তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আশায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে কুড়িগ্রামের মানুষজন।

টানা ৬ দিন মৃদু শৈত্য প্রবাহ প্রবাহিত হওয়ার পর হঠাৎ তীব্র শৈত্য প্রবাহে প্রচন্ড শীত ও কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। শুক্রবার ও শনিবার দিনভর সুর্যের দেখা না মেলায় উত্তরীয় হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে ঠান্ডার প্রকোপ। সারাদিন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে প্রকৃতি। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও গাড়িতে হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহনকে চলাচল করতে দেখা গেছে। এ অবস্থায় ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা। সন্ধ্যার পর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শহরের দোকান পাঠ। প্রচন্ড শীতের কারণে চরম দূর্ভোগে পড়েছে দিনমুজুর, ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষজন। বিশেষ করে কনকনে ঠান্ডা ও হিমেল হাওয়ায় গরম কাপড়ের অভাবে দুর্ভোগ পড়েছে ছিন্নমূল, হতদরিদ্র পারিবারের শিশু ও বৃদ্ধরা। কেউ কেউ খরকুটো জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারনের চেষ্টা করছেন।

কুড়িগ্রাম শহরের রিকসা চালক আক্কাছ আলী জানান, গত কয়েকদিন যাবৎ রাতের বেলা ঠান্ডা বেশি থাকলেও দিনে তেমন ঠান্ডা ছিল না। কিন্তু এখন যে অবস্থা হইছে তাতে গরম জামা কাপড় গায়ে দিয়া রিকসা নিয়ে বেরাইছি তাও ঠান্ডা টেকা যাচ্ছে না। শিরশিরি বাতাস জামা-কাপড় ভেদ করে ভিতরে ঠান্ডা ঢুকছে।

এদিকে, ঠান্ডার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন জেলার কৃষি শ্রমিকরা। বোরো চাষের ভরা মৌসুম চললেও কনকনে ঠান্ডায় শ্রমিকরা ঠিকমত মাঠে কাজ করতে না পারায় ব্যাহত হয়ে পড়েছে বোরো আবাদ।

কুড়িগ্রামের হলোখানা ইউনিয়নের কৃষি শ্রমিক রহিম মিয়া জানান, এই ঠান্ডায় এমনিতেই হাত-পা বাইরে রাখা মুশকিল হয়ে পড়েছে। তার উপর পানিতে নেমে রোয়া লাগানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। ফলে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ছি আমরা।

অন্যদিকে, টানা শীতে জেলার হাতপাতালগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধরাই বেশি। বিশেষ করে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা শীতজনিত রোগে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাটের আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, হঠাৎ করেই কুড়িগ্রামে তীব্র শৈত্য প্রবাহ শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল ৬টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা জেলায় এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

Development by: webnewsdesign.com