দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত্তম বাউফলের কালাইয়া বাজারে জমজমাট হয়ে উঠেছে ধানের হাট। ধানের হাটকে কেন্দ্র করে সহাস্রাধিক শ্রমিক দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে। এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ এই ধানহাটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যাবসায়ীরা ধান কেনা-বেচা করতে আসছেন। ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছ এই ধানহাটটি। অপরদিকে ধানের দাম ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষকরাও।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান হিমু জানান, চলতি বছর বাউফলে ৩৫ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে আমন প্রজাতির ধান আবাদ করা হয়েছে। এরমধ্যে স্থানীয় জাতের ১৮ হাজার ও উচ্চ ফলনশীল জাতের ১৪ হাজার হেক্টর জমি রয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে নিচু জমির ধান কিছুটা তলিয়ে যাওয়ার কারণে কিছু ধানের রং নষ্ট হয়েছে। তবে সার্বিক ভাল।
সোমবার কালাইয়া ধানহাট ঘুরে দেখা গেছে, হাজার হাজার মণ ধান বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে এসেছেন। ধান ক্রয় করতে ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, যশোর, খুলনা, কুমিল্লা, ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা হাটে উপস্থিত রয়েছেন। স্থানীয় মাপে একমণ (৪৮কেজি) আমন মোটা ধান বিক্রি হচ্ছে ১হাজার ৩৩০ থেকে ১হাজার ৪০০ টাকায়। আমন (চিকন) বিক্রি হচ্ছে ১হাজার ৫০ থেকে ১হাজরর১০০ টাকায়। এছাড়াও চিনিগুড়া ধান বিক্রি হচ্ছে ১হাজার ৬০০ টাকায়।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, প্রতি একর জমি চাষ করতে প্রায় ৩৪ হাজার টাক ব্যয় হযেছে। প্রতি একরে ধান হয়েছে গড়ে ৩৫মণ। ধানের দাম ভালো হওয়ায় একর প্রতি প্রায় ১৪ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে অকাল বর্ষণ হওয়ায় নিচু জমির ধানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।
কালাইয়া বাজারের আড়তদার কার্তিক সাহা, মানিক কুন্ডু, জয়নাল সরদার, মাসুদ রানা, গৌতম বণিক এবং রতন বণিক জানান, কালাইয়া ধানহাট দেশের অন্যতম বৃহৎ ধানহাট। এহাটে পটুয়াখালী ও ভোলা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ধান বিক্রি করতে নিয়ে আসেন। এধান ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, ফরিদপুর, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন জেলার বড় বড় ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে যান। এছাড়াও ধানের মৌসুমে ধান হাটে সহাস্রাধিক শ্রমিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়।
Development by: webnewsdesign.com