দিনাজপুরের হাকিমপুর ও নবাবগঞ্জে নিজ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা

শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ৬:৩০ অপরাহ্ণ

দিনাজপুরের হাকিমপুর ও নবাবগঞ্জে নিজ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা
apps
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দিনাজপুরের হাকিমপুর ও নবাবগঞ্জ উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কোন স্থায়ী শহীদ মিনার ছিল না।এ কারণে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারত না শিক্ষার্থীরা।
এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনটিতে কলা গাছ কিংবা বাঁশ, কাঠ দিয়ে অস্থায়ী ভাবে শহীদ মিনার তৈরি করে দিবস পালন করা হতো। আবার কোন কোন প্রতিষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন করে দিবস পালন করা হতো।
এবার বিজয় দিবসেও স্থায়ী ভাবে নির্মিত শহীদ মিনারে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাবে শিক্ষার্থীরা। তাদের এ সুযোগ করে দিয়েছে উপজেলা শিক্ষা বিভাগ।
এডিবির ক্ষুদ্র মেরামত ও সামাজিক সহযোগিতার অর্থায়নে প্রতিষ্ঠানগুলোতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে তৈরি করে দেয়া হয়েছে শহীদ মিনার।
দিনাজপুরের হাকিমপুরে ৪৬টি ও নবাবগঞ্জ উপজেলার ১৪৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বিদ্যালয়গুলোতে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কোন শহীদ মিনার ছিল না। এরপরই উপজেলা শিক্ষা বিভাগ উদ্যোগ নেয় মুজিববর্ষে শহীদ মিনার নির্মাণের।
উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০১৮ থেকে ২০২০ অর্থবছরে ক্ষুদ্র মেরামত এবং স্থানীয় সহযোগিতার টাকায় সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সম্প্রতি বরাদ্দ এলে ১৯৫ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে নির্মাণ করা হয় শহীদ মিনার।
নবাবগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চনডোব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হারুনুর রশিদ ও হাকিমপুর উপজেলার বাংলাহিলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাইদুল ইসলাম জানান, শহীদ মিনার নির্মাণ হওয়ায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা খুশি। এবার শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি প্রথম শ্রদ্ধা জানাতে পারবে।
হাকিমপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাসুদুল হাসান ও নবাবগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম জানান, বিভিন্ন জাতীয় দিবসে বীর শহীদদের প্রতি কোমলমতি শিশুরা যাতে শ্রদ্ধা জানাতে পারে এবং দিবসগুলোর তাৎপর্য উপলব্ধি করতে পারে সে জন্য শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়।
হাকিমপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ ও নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান জানান,প্রতিষ্ঠানগুলোতে আগে শহীদ মিনার ছিল না।
উপজেলা শিক্ষা বিভাগের ক্ষুদ্র মেরামত ও স্থানীয়ভাবে অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে শহীদ মিনার তৈরি করে দেয়া হয়েছে। খুব সুন্দর কাজ হয়েছে। বিদ্যালয় চত্বরে শহীদ মিনার নির্মাণ হওয়ায় এখন থেকে স্কুলের শিক্ষার্থীরা জাতীয় দিবসগুলোর তাৎপর্য ও শহীদদের সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারবে।
দৈনিক বাংলাদেশ মিডিয়া/এসআরসি-২০

Development by: webnewsdesign.com