দক্ষিণ সুনামগঞ্জে বাঁধের ভেতরে বাঁধ, কার স্বার্থে এতো অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প

বুধবার, ০৩ মার্চ ২০২১ | ১১:০৪ পূর্বাহ্ণ

দক্ষিণ সুনামগঞ্জে বাঁধের ভেতরে বাঁধ, কার স্বার্থে এতো অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প
apps

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার সাংহাইর হাওরের ৬টি প্রকল্পই অপ্রয়োজনীয়। এই প্রকল্পগুলোর নামে একটি বাঁধের ভেতরে আরেকটি বাঁধ নির্মাণ করে সরকারি টাকা লুটপাট চলছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তারা বলেছেন, এই হাওরের চারপাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। কিন্তু প্রকল্পের ভেতরে আরও ৬টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পিআইসি’র লোকজন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নীতিমালা অনুযায়ী দুইটি হাওরের চারপাশে প্রকল্প থাকা স্বত্তেও দুই হাওরকে পৃথক করার মতো কোন প্রকল্প বাস্তবায়নের সুযোগ নেই। তবে কার স্বার্থে এই লুটপাটের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে উপজেলা ও জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড।

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার হাওরের প্রায় চতুর্দিকে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে, সেখানে আবার ওই বাঁধের ভেতরে আরেক বাঁধ দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি অনেককেই ভাবিয়ে তুলছে। অন্যদিকে এই হাওরের ওই প্রকল্পগুলোর প্রায় ১০০-১৫০ মিটার পশ্চিমে রয়েছে শান্তিগঞ্জ-রজনিগঞ্জ রাস্তা। যে কেউ দেখলে অতি সহজেই বুঝতে পারবে দিনে-দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ড কীভাবে ‘‘সাগরচুরি’’ করছে। পিআইসি’র মাধ্যমে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণের কাজকে ব্যর্থ করতেই একটি চক্র সক্রিয় থেকে বিভিন্ন হাওরে অপ্রয়োজনীয় বাঁধ ও অনিয়ম-দুর্নীতি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মাধ্যমে পিআইসি পদ্ধতিকে বিতর্কিত করতে কাজ করছে ওই চক্র। পিআইসি প্রথা বাতিল হয়ে আবার ঠিকাদারি প্রখা এলে এই লুটেরা গোষ্ঠী আবারও ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজের অর্থ লুটপাট করতে পারবে। তাই অশুভ চক্র পিআইসির বিরুদ্ধে কাজ করছে। আর এমন সব অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে পিআইসিকে বিতর্কিত করা হচ্ছে বলে জানান এলাকার বিজ্ঞজনেরা। তাদের দাবি, চলতি বছরে অনিয়ম-দুর্নীতির সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর সুনামগঞ্জ দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার দেখার হাওর, জামখলা হাওর, কাচিভাঙ্গা হাওর, সাংহাইর হাওর, খাই হাওর ও কাউয়াজুরী হাওরে প্রথম ধাপে ৪৯টি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। বরাদ্দ ছিল ৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। পরবর্তীতে ফেব্রæয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে এসে নতুন ১৪টি প্রকল্প বৃদ্ধি করে মোট ৬৩টি প্রকল্পের মাধ্যমে আরও ৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয় বৃদ্ধি করে সর্বমোট ১০ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজ করা হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের ডুংরিয়া গ্রামের দক্ষিণ দিক থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে সাংহাইর হাওরের মধ্য দিয়ে পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের বনুয়া গ্রামের সোনাহর খানের বাড়ি পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়। এখানে পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের ১৯ ও ১৮ নম্বর পিআইসির মাধ্যমে কাজ হচ্ছে। দুই প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ লাখ ৭১ হাজার টাকা। এই দুই পিআইসির কাজের ঠিক পশ্চিমদিকে ১০০-১৫০ মিটার দূরে শান্তিগঞ্জ-রজনিগঞ্জে এলজিইডি’র পাকা রাস্তা রয়েছে। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে কোনোভাবেই এখানে বাঁধের প্রয়োজন নেই। এলজিইডি’র পাকা রাস্তার দুইটি কালভার্ট ব্রীজের মুখ বন্ধ করলেই কাজ হয়ে যায়। এরপর পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের বনুয়া গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার বাড়ির দক্ষিণ দিক থেকে হাওরের মধ্যখান দিয়ে আরেকটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে শান্তিপুর হয়ে জয়সিদ্দি চাঁনপুর ভায়া খাসিপুর গ্রামের আলমগীরের বাড়ি পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়। এখানে কাজ করছেন ১৭, ১৬, ১৫ ও ১৪ নম্বর পিআইসির লোকজন। আবার ১৪ নম্বর পিআইসি’র শেষ প্রান্তে খাসিপুর গ্রামের আলমগীরের বাড়ির সামনে থেকে পশ্চিম দিক হয়ে আসামমোড়া ¯øুইস গেট পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার জায়গায় কোনো প্রকল্পই নেওয়া হয়নি। এই চার প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫১ লাখ ৭০ হাজার ১৩৩ টাকা। এই ৬টি প্রকল্পে সর্বমোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮২ লাখ ৪১ হাজার ১৩৩ টাকা। যদি এসব প্রকল্পের মাধ্যমে হাওর পৃথকী করণ করা হয়ে থাকে তাহলে খাই হাওরে পানি ঢুকে পড়ে তাহলে পাথারিয়া অংশের খাসিপুর গ্রাম থেকে আসামমোড়া ¯øুইস গেট পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার জায়গায় দিয়েই পানি ঢুকবে, আবার খাই হাওরে যদি পানি ঢুকে তাহালে ডুংরিয়া শিবপুর গ্রামের পূর্ব পাশের্^র ব্রীজের নীচের ভাঙ্গা এখনো অরক্ষিত। এখানে কোন প্রকল্পই নেওয়া হয়নি। কার স্বার্থে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এতে আয়োজন।

খাসিপুর গ্রামের কৃষক ইব্রাহিম আলী বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ড এখানে অপ্রয়োজনীয় বাঁধ নির্মাণ করছে। এখানে কোনো বাঁধের প্রয়োজন নেই। আমাদের হাওরের মূল বাঁধ হলো খাই হাওরের বাঁধ। ওই বাঁধ থাকলে এখানে আর কোনো বাঁধের প্রয়োজন নেই। আমাদের এখানে রাস্তা প্রয়োজন। যদি এই প্রকল্পের কাজগুলো শান্তিগঞ্জ-রজণীগঞ্জ রাস্তায় করা হতো, তাহলে আমাদের রাস্তাটি শতভাগ সম্পন্ন হতো। কিন্তু এই প্রকল্পে না হলো রাস্তা, না হলো বাঁধ।

খাসিপুর গ্রামের আরেক কৃষক আসক আলী বলেন, ‘এই হাওরের মাঝখান দিয়ে অতীতে কোনো বাঁধের কাজ হয়নি। ২০১৮ সাল থেকে এই হাওরে বাঁধের নামে এমন লুটপাট চলছে। দেখার কেউ নেই। এখানে কোনো বাঁধের প্রয়োজন নেই। আমাদের রাস্তা দরকার। কিন্তু সরকার আমাদের রাস্তার কাজ করে দিচ্ছে না। শান্তিগঞ্জ-রজনীগঞ্জ রাস্তাটির কাজ সম্পন্ন হলে আমাদের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি হতো। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের রাস্তা হচ্ছে না। হাওরের মাঝখানে এই বাঁধ মানুষের কোনো কাজে আসছে না। বরং সরকারের টাকার ব্যাপক অপচয় হচ্ছে।’

সরেজমিনে ঘুরে আরও দেখা যায়, এই হাওরের চারপাশে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। যার ফলে সাংহাই হাওরের মাঝখান দিয়ে এই ৬ প্রকল্পের কোনো প্রয়োজন পড়ে না। এই এলাকায় ২টি হাওর রয়েছে। ১টি খাই হাওর ও আরেকটি সাংহাই হাওর নামে পরিচিত। হাওরের উত্তরপাশে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক, পূর্বে পাগলা ডাবর-জগন্নাথপুর সড়ক, পূর্ব-দক্ষিণে ছয়হাড়া বীরগাঁও মহাসিং নদী, দক্ষিণে লাউয়া নদী, পশ্চিমে উত্তর কান্দিগাঁও ডাক বাঁধ (লাউয়া নদী আসামমোড়া স্লুইস গেট পর্যন্ত) আর উত্তর-পশ্চিমে মরা সুরমার তীর হয়ে জামলাবাজ-উজানীগাঁও ভায়া সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক পর্যন্ত।

খাই হাওরের উত্তর অংশে জয়কলস ইউনিয়নের সদরপুর খালের একটি ক্লোজার আছে। হাওরের ২৯.০০০ কিলোমিটার থেকে ২৯.১৪৪ কিলোমিটার পর্যন্ত ১৪৪ মিটারের এই ক্লোজারে ৩০ নম্বর পিআইসি’র মাধ্যমে কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের শত্রুমর্দন গ্রামের হিরা দেবের বাড়ির সামনে থেকে সনাতন মন্দির পর্যন্ত একটি ক্লোজার আছে। ২৯ নম্বর পিআইসির মাধ্যমে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।

খাই হাওরের পূর্বপাশে পাগলা ডাবর-জগন্নাথপুর সড়কের সিচনী পয়েন্ট থেকে মহাসিং নদীর তীর হয়ে আক্তাপাড়া মিনা বাজার পর্যন্ত খাই হাওরের এ অংশে দরগাপাশা ইউনিয়নের ২৮ নম্বর পিআইসি দিয়ে বাঁধের কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা। পাগলা ডাবর-জগন্নাথপুর সড়কের ছয়হাড়া সেতুর পশ্চিমে মহাসীং নদীর তীরে খাই হাওরের কুকরা বিলের বাঁধ থেকে ৫৬৫ মিটার বাঁধের কাজ করছে দরগাপাশা ইউনিয়নের ২৭ নম্বর পিআইসি। প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। এই অংশের শেষ থেকে পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত আরও ১ হাজার ২২৮ মিটার বাঁধের কাজ বাস্তবায়ন করছে পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের ২৬ নম্বর পিআইসি। প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ লাখ ১৬ হাজার টাকা।

খাই হাওরের পূর্ব-দক্ষিণ পাশে পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নে লাউয়া নদীর তীরে খাই হাওরের রাঙামাটির বাঁধ থেকে ৭৬৪ মিটার কাজ বাস্তবায়ন করছে পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের ২৫ নম্বর পিআইসি। এই প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। আর খাই হাওরের দক্ষিণপাশে লাউয়া নদীর তীরে ৪.৪৫৬ কিলোমিটার থেকে ৫.৪৫৬ কিলোমিটার পর্যন্ত ১ হাজার মিটার কাজ বাস্তবায়ন করছে পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের ২৪ নম্বর পিআইসি। প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ লাখ ৯২ হাজার টাকা। এরপর ৩.৫২৬ কিলোমিটার থেকে ৪.৪৫৬ কিলোমিটার পর্যন্ত ৯৩০ মিটার কাজ বাস্তবায়ন করছে ২৩ নম্বর পিআইসি। প্রকল্পের মোট ব্যয় ২১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। ৩.১২৬ কিলোমিটার থেকে ৩.৫২৬ কিলোমিটার পর্যন্ত ৪০০ মিটার বাঁধের কাজ ২০ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করছে ২২ নম্বর পিআইসি।

হাওরের পশ্চিমপাশে উত্তর কান্দিগাঁওয়ে (লাউয়া নদী আসামমোড়া স্লুইস গেট পর্যন্ত) ২.৫২৬ কিলোমিটার থেকে ৩.১২৬ পর্যন্ত ৬০০ মিটার বাঁধের কাজ বাস্তবায়ন করছে পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের ২১ নম্বর পিআইসি। প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা। এ অংশে ০.৯৬৭ থেকে ৩.১২৬ এর মধ্যে ৮১১ মিটার বাঁধের কাজ বাস্তবায়ন করছে পাথারিয়া ইউনিয়নের ২০ নম্বর পিআইসি। প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা। আসামমোড়া স্লুইচ গেটের উত্তরে শ্রীনাথপুর-পুরান জাহানপুর-জাহানপুর-হাসারচর অংশের ১২.০০ কিলোমিটার থেকে ১৪.৪৩০ কিলোমিটারের মধ্যে ৪৭১ মিটার বাঁধের কাজ ১২ লাখ ২২ হাজার টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করছে পাথারিয়া ইউনিয়নের ১৩ নম্বর পিআইসি। আর হাওরের পশ্চিম-উত্তর অংশে জয়কলস ইউনিয়নের হাসনাবাজ গ্রাম থেকে আহন্ধাবাজ গ্রামের সীমা পর্যন্ত (মরা সুরমার তীর হয়ে জামলাবাজ-উজানীগাঁও ভায়া সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক পর্যন্ত) অংশের ৮.২১০ কিলোমিটার থেকে ১০.৭৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ১ হাজার ১১৮ মিটার বাঁধের কাজ ১০ লাখ ১২ হাজার টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করছে জয়কলস ইউনিয়নের ১২ নম্বর পিআইসির লোকজন। এই চারপাশে সর্বমোট ১৩টি প্রকল্পের কাজ ১ কোটি ৭৯ লাখ ৯৮ হাজার টাকা ব্যয়ে করা হচ্ছে।

স্থানীয় আলী হোসেন, ফখরু মিয়াসহ একাধিক কৃষকের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, খাই হাওর ও সাংহাই হাওরের চারপাশে ভালো করে বাঁধ নির্মাণ করলে হাওরের মধ্যখানে আর কোনো বাঁধের প্রয়োজন হয় না। চারপাশের বাঁধগুলোই আসল বাঁধ। বাকি সব অপ্রয়োজনীয়।

জয়কলস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ মিয়া জানান, খাই হাওরের চারপাশেই ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে হাওরের মধ্যখানে যে ৬টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, সেটি অলটারনেটিভ হিসেবেই নেওয়া হয়েছে। কোনো দুর্যোগে যদি খাই হাওরের চারপাশের বাঁধ ভেঙে যায়, তাহলে এই ৬ প্রকল্প সাংহাই হাওরকে ২-৩ দিন রক্ষা করতে পারবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘এই প্রকল্প অনেক আগে থেকেই ডিজাইন ও সার্ভে করা। ২০১৭ সালের পর থেকেই এই প্রকল্পগুলো প্রতিবছর বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আমরা নতুন করে সম্ভাব্যতা ও প্রয়োজনীয়তা যাচাই করার প্রয়োজন মনে করিনি। যেহেতু প্রতিবছর এখানে প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে, তাই চলতি বছরও প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা ২টি হাওরকে পৃথক করার জন্য নিয়েছি। কাজের ডিজাইনের ব্যাপারে আমার এতটা জানা নেই। তবে নির্বাহী প্রকৌশলী স্যার আরও ভালোভাবে বলতে পারবেন।’

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান বলেন, ‘বাঁধের ভেতরে বাঁধ নির্মাণ হচ্ছে বলে আমার জানা নেই। আমি ওই হাওরে যাইনি। তবে প্রকল্প নেওয়ার আগে উপজেলা কমিটি প্রকল্পের চাহিদা জেলা কমিটিতে পাঠান। সেই আলোকেই জেলা কমিটি উপজেলা কমিটির পাঠানো প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেন। তবে এই প্রকল্পগুলো প্রয়োজন না হলে জেলা কমিটিতে প্রস্তাব এলে প্রকল্পগুলো বাতিল করা হবে। হাওরের চারপাশে প্রকল্প থাকলে হাওরের মধ্যখানে প্রকল্পের প্রয়োজন পড়ে না।

Development by: webnewsdesign.com