তুরস্কের পাশে আহ্বান: যুক্তরাষ্ট্র

শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ৫:৪৮ অপরাহ্ণ

তুরস্কের পাশে আহ্বান: যুক্তরাষ্ট্র
ছবি: এএফপি
apps

ইদলিব প্রদেশে সিরিয়া সরকার ও তার মিত্র রাশিয়ার ঘৃণ্য অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া তুরস্কের ৩৩ সেনা নিহত হওয়ার পর দেশটির প্রতি সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।-খবর এএফপির
বৃহস্পতিবার মার্কিন পররারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, আমরা ন্যাটোমিত্র তুরস্কের পাশে রয়েছি এবং আসাদ সরকার, রাশিয়া ও ইরানসমর্থিত বাহিনীর ঘৃণ্য অভিযান তাৎক্ষণিক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, তুরস্ককে কীভাবে আমরা সর্বাত্মক সমর্থন দিতে পারি, তার ভালো বিকল্প ভেবে দেখছি।
তুরস্কর কাছ থেকে তথ্য চেয়ে আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। ন্যাটোতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেই বেইলি হুচিসান বলেন, এই ঘটনায় বড় ধরনের পরিবর্তনের আলামত।তিনি আরও জানান, আমরা আশা করছি, প্রেসিডেন্ট এরদোগান ভেবে দেখবেন, আমরা তাদের অতীত ও বর্তমানের মিত্র। কাজেই এস-৪০০ ক্রয় পরিকল্পনা বাতিল করা প্রয়োজন।সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে দেশটির ‘সরকারি বাহিনীর’ বিমান হামলায় তুরস্কের অন্তত ৩৩ সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। তুরস্কের এক জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশে বৃহস্পতিবারের এ হামলায় আরও অনেক সেনাসদস্য গুরুত্বর আহত হয়েছেন। খবর আলজাজিরার।তুরস্কের হাতায় প্রদেশের গভর্নর রাহমি দোগান জানান, বিমান হামলায় আহত সেনারা তুর্কির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, অন্যান্য সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য বলছে নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সিরিয়ার হামলার জবাব দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে তুরস্ক।সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশটি তুরস্কের সেনাদের সমর্থনপুষ্ট বিদ্রোহীরা দখল করে রেখেছে। বিদ্রোহীদের কাছ থেকে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী প্রদেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করছে। সিরীয় বাহিনীকে সমর্থন দিচ্ছে রাশিয়া। একমাত্র ইদলিব প্রদেশের নিয়ন্ত্রণই সিরিয়া সরকারের প্রতিপক্ষের হাতে রয়েছে। তাই ইদলিব নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টায় মরিয়া আসাদ সরকার।তবে ইদলিবে এই নৃশংস হামলার বিষয়ে সিরিয়া কর্তৃপক্ষ এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি।এদিকে হামলার পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বৃহস্পতিবার রাজধানীর আঙ্কারায় শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি নিরাপত্তা বৈঠক করেন। ওই বৈঠকের পরই সিরিয়ার বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা শুরু করে তুর্কি সামরিক বাহিনী। এসব হামলায় হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য এখনও আসেনি।উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের পর সিরিয়া যুদ্ধে তুর্কি সেনা নিহতের এটাই সবচেয়ে বড় ঘটনা।

 

 

 

 

Development by: webnewsdesign.com