পাওয়ার প্লে আর স্লগ ওভার- টি২০ ক্রিকেটের এই দুই সময়ে ব্যাটসম্যানদের থাকতে হয় বিস্ফোরক মুডে। ওপেনিং জুটির অন্তত একজনকে ফ্রি লাইসেন্স দেওয়া হয় মেরে খেলার। আর স্লগ ওভারে ব্যাটসম্যান স্বাভাবিকভাবেই হন মারমুখো। এই দুই জায়গাতেই শুক্রবার স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লের ছয় ওভার থেকে ৩৫ রান তোলেন তামিম ও নাঈম। শেষ ৩০ বল থেকে এসেছে ৪১ রান। এর পরও অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ ব্যাটসম্যানদের পক্ষ নিলেন। তামিম-নাঈমের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করলেন।
সাধারণত স্পোর্টিং উইকেট হলে পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ৬০ রান আদর্শ স্কোর। কন্ডিশন স্লো হলে ৪৫ থেকে ৫০ রান প্রত্যাশা করা হয়। তামিম ও নাঈমের ওপেনিং জুটি এক্ষেত্রে ব্যর্থ। দু’জনই কচ্ছপ গতিতে ব্যাট করায় পাওয়ার প্লেতে অন্তত ২০ রান কম হয়। যার নেতিবাচক প্রভাব ছিল ১০ ওভার পর্যন্ত। প্রথম ১০ ওভার শেষে ৬২ রানে ছিল বাংলাদেশ। তবুও মাহমুদুল্লাহ ব্যাট ধরলেন ওপেনিং জুটির হয়ে, ‘পাওয়ার প্লেতে যে ধরনের ব্যাটিং করা দরকার ছিল সেভাবেই হয়েছে। তামিম ও নাঈম খুব ভালো ব্যাটিং করেছে।’
১৫ ওভার শেষে ১০০ রানে ছিল বাংলাদেশ। রান গড় ৬.৬৬। টি২০ ম্যাচের জন্য যেটা মোটেও শোভন স্কোর বলা চলে না। এই ব্যর্থতার দায় কন্ডিশনের ওপর চাপালেন টাইগার অধিনায়ক, ‘যখন বল আস্তে আস্তে পুরোনো হচ্ছিল, পিচের কন্ডিশনও পরিবর্তন হচ্ছিল। লেটঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন ছিল। পিচে গিয়ে বড় শট খেলা সম্ভব হচ্ছিল না। আমার মনে হয়, ওই জায়গাটায় আমরা একটু পিছিয়ে পড়েছি। ১০-১৫টি রান কম হয়েছে।’
১৪২ রানের টার্গেট পাকিস্তানের জন্য বড় স্কোর ছিল না। এর পরও সমন্বিত বোলিং দিয়ে লড়াই করে গেছে বাংলাদেশ। মুস্তাফিজুর রহমান চার ওভারে ৪০ রান দেওয়ায় এবং মিস ফিল্ডিং বেশি করায় শফিউল, আল-আমিন, আমিনুল বিপ্লবদের প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়ে গেছে। মাহমুদুল্লাহ সেটা মেনে নিয়ে বলেছেন, ‘১৪১ রান যে এই পর্যন্ত ডিফেন্ড করতে পেরেছি, এটা বোলারদের কৃতিত্ব। বোলাররা ভালো বোলিং করলেও কিছু কিছু জায়গায় ভুলত্রুটি ছিল। লেগ সাইডে কয়েকটা সহজ চার আমরা দিয়েছি। ছয় থেকে সাতটার মতো। ওই জায়গা থেকে আর একটু ভালো করতে পারলে এবং ফিল্ডিং আর একটু ভালো হলে অন্যরকম হতে পারত।’
Development by: webnewsdesign.com