রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন অদালত।
মঙ্গলবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
ঢাবির ওই ছাত্রী গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে রাজধানীর কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে নামার পরে একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে ধর্ষণের পাশাপাশি তাকে নির্যাতনও করা হয় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। ধর্ষণের এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
ওইদিন রাত ১০টার দিকে নিজেকে একটি নির্জন জায়গায় আবিষ্কার করেন ওই ছাত্রী। পরে সিএনজি নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আসেন। রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা।
ওইদিন রাতেই ধর্ষিত ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রাথমিক তদন্ত ও অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে রাতেই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় মামলাটি তালিকাভুক্ত করে পুলিশ।
ঘটনার তিনদিন পর মজনুকে গ্রেফতার করে র্যাব। মামলার তদন্তভার পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারের পর মজনুকে ডিবি সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। আদালতে ধর্ষণে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় সে।
মজনুর ডিএনএ পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলে বলে জানায় সিআইডি সূত্র। সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে এই পরীক্ষা করা হয়।
Development by: webnewsdesign.com