ঢাকায় মধ্যরাত থেকে বিশেষ অভিযান চালাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী

বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২০ | ৭:১০ অপরাহ্ণ

ঢাকায় মধ্যরাত থেকে বিশেষ অভিযান চালাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী
apps

ঢাকা দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে রাজধানীতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে বিশেষ অভিযান চালাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভোটের দিন পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।

ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত রাখতে এ অভিযান চালানো হবে। যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত তাদেরকে গ্রেপ্তার করাই অভিযানের মূল উদ্দেশ‌্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ভোটের সময় অপরাধীসহ কোনো বহিরাগত ঢাকায় থাকতে পারবে না। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে। অপরাধী যেই হোক, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এ অভিযান চালানো হচ্ছে না।’

 

 

 

 

 

গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য আছে, মতিঝিল, খিলগাঁও, শাহজাহানপুর, শনির আখড়া, বাসাবোসহ ঢাকা দক্ষিণের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বহিরাগতরা নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিচ্ছে। জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা বিএনপির দলীয় পরিচয়ে বিভিন্ন প্রার্থীর প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছে। ঢাকার আশপাশের জেলা থেকে বহিরাগতদের নিয়ে আসছেন অনেক প্রার্থী। যশোর, সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, গাজীপুর, ময়মনসিংহ থেকে অনেকেই নির্বাচনী কাজে ঢাকায় এসেছেন।

গোয়েন্দা সংস্থার একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাননি, এমন নির্দলীয় বিতর্কিত প্রার্থীদের পক্ষে সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বেড়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থীদের হয়ে মিছিলসহ নানা কর্মকাণ্ড করছে তারা। শতাধিক কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আছেন যারা নির্দলীয়। বিতর্কিত প্রার্থীদের সঙ্গে মাদক ব‌্যবসা, চাঁদাবাজি ও দখলসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত সন্ত্রাসীদের সখ্যও আছে। বিদেশে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছে এসব সন্ত্রাসী।

 

 

 

 

 

 

 

রাজধানীর একাধিক থানার অফিসার ইনচার্জের (ওসি) সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইতোমধ্যে হত্যা মামলার আসামি, সন্ত্রাসী, জঙ্গি, গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ অপরাধীদের তালিকা ধরে তাদের গতিবিধির ওপর নজরদারি শুরু করা হয়েছে। নির্বাচনে তারা যেন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করতে না পারে সেজন্য বিশেষ অভিযানের প্রস্তুতি চলছে। বিভিন্ন এলাকা ও আবাসিক হোটেলে এ অভিযান চলবে। যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বা অতীতে অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদেরকেই গ্রেপ্তার করতে বলা হয়েছে। কেউ পরিচয়পত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে তাকেও সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। এজন্য এসআইদের বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

Development by: webnewsdesign.com