ডিমেনশিয়া শব্দটির সঙ্গে পরিচিত অনেকেই। মস্তিষ্কের এই ব্যাধিতে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়। এবং দৈনন্দিন কাজে ক্ষতি হয় অনেক। জাপানের একটি গবেষণা অনুযায়ী দেখা গেছে, বাড়িতে কুকুর থাকলে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৪০% ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমতে পারে৷ কারণ কুকুরের সঙ্গে সময় কাটালে নিয়মিত যে পরিশ্রম করতে হয় তাতে মানবদেহে মিথস্ক্রিয়া হয়। যা মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। বাড়িতে পোষ্য সারমেয় থাকলে শুধুমাত্র মানসিক চাপ এবং উদ্বেগের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে না, বরং জ্ঞানীয় সুস্থতাও প্রভাবিত হয়।
থেরাপিস্টের মতে, আধুনিক জীবনধারায় সঙ্গী হয়েছে মানসিক চাপ। সেখানে পোষ্যের সঙ্গে সময় কাটানো থেরাপির মত কাজ করতে পারে। ইটা প্রমাণিত যে, পোষ্য কুকুর সবথেকে বেশি তার মনিবকে ভালবাসে। মানসিক সুস্থতার ক্ষেত্রে এই “ভালবাসা” থেরাপির মত কাজ করে। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পোষ্য কুকুরের সঙ্গে সময় কাটালে শুধু মানসিক স্বাস্থ্য নয়, সার্বিক স্বাস্থ্যও ভাল থাকে এমনকি ডিমেনশিয়ার ঝুঁকিও কমে।
পোষ্যের সঙ্গে খেলাধুলো করলে কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য ভাল হওয়ার পাশাপাশি ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমে। রোজ শরীরচর্চার ফলে সার্বিক স্বাস্থ্য উন্নত হয়। একাকিত্বের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। যা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য কার্যকরী। এক্ষেত্রে ভাল বন্ধু হতে পারে কুকুর। ওরা সকলের সঙ্গে মিলে মিশে থাকতে পারে। কুকুরের সঙ্গে সময় কাটালে অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসরণ হয়। যা আমাদের মানসিক আনন্দ দেয়, স্ট্রেস কম করে। সূত্র- দ্যা টেলিগ্রাফ।
Development by: webnewsdesign.com