ডায়বেটিস ও তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে যৌথভাবে কাজ করবে বাডাস-মানস

রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২২ | ৩:৪৪ অপরাহ্ণ

ডায়বেটিস ও তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে যৌথভাবে কাজ করবে বাডাস-মানস
apps

ডায়বেটিস ও তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে যৌথভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি (বাডাস) এবং মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস)। এ লক্ষ্যে আজ রবিবার বেলা ১২টায় বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি’র কনফারেন্স রুমে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

উক্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি’র সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান এবং মানস এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অনুষ্ঠানের মূখ্য আলোচক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. অরূপ রতন চৌধুরী।

বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বারডেম জেনারেল হাসপাতালের মহাপরিচালক অধ্যাপক মুর্তাজা কে আই কাইয়ুম চৌধুরী, বাডাস এর সহ-সভাপতি আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মানস এর সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান তালুকদার এবং সঞ্চালনা করেন মানস এর প্রকল্প সমন্বয়কারী সালমা পারভীন।

জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, তামাকের কোনও ভালো দিক নেই। ধূমপান বা তামাকজাত দ্রব্য সেবন কমে যাবে যদি এর মূলে আঘাত করা যায়। অর্থাৎ দেশকে তামাকমুক্ত করতে হলে তামাক চাষ নিষিদ্ধ করতে হবে। তামাক চাষীদেরকে বিকল্প খাদ্য শস্য চাষে উৎসাহিত করতে হবে। মানুষকে তামাক ছাড়তে উৎসাহিত করতে সচেতনতামূলক কর্মসূচি আরও বাড়াতে হবে। ধূমপান ত্যাগ করে পুনরায় মানুষ যেন তামাক সেবন শুরু করে সেটি প্রতিরোধ করতে হবে। গবেষণার মাধ্যমে তথ্য তুলে ধরতে হবে।

অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী বলেন, তামাক ও ডায়াবেটিক এখন একটি মহামারী। করোনাসহ বড় বড় মহামারির চাইতে তামাকের কারণে মৃত্যুহার অনেক বেশি। বাংলাদেশে মাদক ও তামাক নিয়ন্ত্রণে মানস ৩৩ বছরের অধিক সময় ধরে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।
আমি ব্যাক্তিগতভাবে দীর্ঘদিন থেকে তামাক ও মাদক বিরোধী কর্মকান্ডে নিবিড়ভাবে যুক্ত রয়েছি। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি তামাক বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে এটি আমাদের জন্য বিরাট সুযোগ এবং স্বাস্থ্য খাতের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক।
আশা করি, দেশ ও জনগণের স্বার্থে বাডাস তামাক নিয়ন্ত্রণ আন্দোলনকে আরো বেগবান করতে মূখ্য ভূমিকা পালন করবে। বারডেম হাসপাতালসহ বাডাস এর সকল সহযোগি প্রতিষ্ঠানসমূহ সম্পূর্ণ তামাকমুক্ত করার আহ্বান জানান তিনি।

মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি সকল ভালো কাজের সাথে যুক্ত আছে এবং ভাবিষ্যতেও যুক্ত থাকবে। মানস এবং বাডাস যৌথভাবে যে উদ্যোগ নিয়েছে আমি সেটার সাফল্য কামনা করছি।

অধ্যাপক মুর্তাজা কে আই কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, বারডেম হাসপাতাল ধূমপানমুক্ত করা হয়েছে। হাসপাতালে জর্দা, গুল সেবন এবং পানের পিক ফেলা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তামাক নিয়ন্ত্রণে মানস ও বাডাস কর্তৃক এমন উদ্যোগ অত্যন্ত সময়োপযোগী।

Development by: webnewsdesign.com