টেক্সাসে স্কুলে বন্দুক হামলার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

শনিবার, ২৮ মে ২০২২ | ১২:২৩ অপরাহ্ণ

টেক্সাসে স্কুলে বন্দুক হামলার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
apps

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে স্কুলে বন্দুক হামলার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিভাবকদের অভিযোগ, পুলিশের দল স্কুলের সামনে এক ঘণ্টা আগে পৌঁছালেও হামলাকারীকে নিরস্ত্র করতে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি।

এরই মধ্যে, দেরিতে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত ভুল ছিল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছে টেক্সাসের জননিরাপত্তাবিষয়ক দফতর। এদিকে নিরাপত্তার অজুহাতে ব্যক্তিগত অস্ত্র রাখার আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন মার্কিনরা।

যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্দুক হামলায় প্রতিদিন শিশুসহ নিরিহ মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় ব্যক্তিগত নিরাপত্তা আইন সংস্কারের দাবি জোরালো হচ্ছে। টেক্সাসে ভয়াবহ বন্দুক হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই হিউস্টনে সম্মেলন করছেন অস্ত্র রাখার পক্ষের সংগঠন ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশন এন আর এ। আর ঠিক সেই সম্মেলন স্থলের বাইরেই অস্ত্র আইনবিরোধী বিক্ষোভ করেন মার্কিনরা। যদিও এনআরএ সদস্যদের দাবি, বন্দুক হামলার ঘটনাকে রাজনীতিকরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মঙ্গলবারের বন্দুক হামলায় ১৯ শিশুসহ ২১ জন নিহতের ঘটনায় এখনো শোক কাটিয়ে উঠতে পারেনি স্বজন হারানো অভিভাবকরা। তাদের আক্ষেপ, পুলিশ একটু চেষ্টা করলেই হয়তো বেঁচে যেত প্রিয় সন্তান। ঘটনাস্থলে এক ঘণ্টা আগে পৌঁছার পরও দেরিতে অভিযান পরিচালনা করা নিয়ে তোপের মুখে টেক্সাসের পুলিশ বিভাগ। অভিভাবকদের অভিযোগ, মঙ্গলবারের হামলা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছে পুলিশ। নিজেদের দোষ ঢাকারও চেষ্টা করেছে তারা।

শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের প্রশ্নের মুখে পুলিশ হামলার ঘটনার বিবরণ সংশোধন করেছে। একইসঙ্গে অবশেষে বিলম্বে অভিযান শুরুর অভিযোগও স্বীকার করেছেন টেক্সাসের জননিরপত্তাবিষয়ক দফতরের পরিচালক। সাহায্যের জন্য স্কুলের ভেতর থেকে জরুরি নাম্বারে একাধিক কল আসে বলেও স্বীকার করেন তিনি।

টেক্সাসের জননিরপত্তা বিষয়ক দফতরের পরিচালক স্টিভেন ম্যাক্রো বলেন, এটা সঠিক সিদ্ধান্ত ছিলো না। এটা একটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিলো। আর এ জন্য কোনো অজুহাত প্রযোজ্য নয়। আমি সেখানে ছিলাম না ঠিক। তবে যতটুকু জানতে পেরেছি, আমাদের আরো আগে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করা উচিত ছিল। যখন কোথাও কোনো বন্দুকধারীর ঝুঁকি থাকে তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

মঙ্গলবারের ঘটনায় পুলিশের প্রাথমিক বিবরণে বলা হয়, হামলাকারী সালভাদর রামোস খোলা একটি দরজা দিয়ে ঢুকে ১৯ শিশু ও ২ শিক্ষককে হত্যা করে। একটি শ্রেণিকক্ষে এক ঘণ্টা আটকে রেখে এ হত্যাযজ্ঞ চালানোর সময় পুলিশের একটি বিশেষ দল সেখানে অভিযান চালালে গুলিতে হামলাকারীও নিহত হয়।

তবে ঐ ঘটনার পর এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও সেখানে অবস্থান করা আতঙ্কিত অভিভাবকদের সামলাতেই ব্যস্ত থাকে পুলিশ। আর তখনো বন্দুকধারী স্কুলের ভেতরেই অবস্থান করছিলেন। পুলিশের এমন ভূমিকায় অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি করে। তারা পুলিশের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ার তদন্ত দাবি করেন।

Development by: webnewsdesign.com