টিআইবি একটি পক্ষের হয়ে ওকালতি করছে : ওবায়দুল কাদের

বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ | ১:২৩ অপরাহ্ণ

টিআইবি একটি পক্ষের হয়ে ওকালতি করছে : ওবায়দুল কাদের
টিআইবি একটি পক্ষের হয়ে ওকালতি করছে : ওবায়দুল কাদের
apps

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের তথ্য প্রমাণ তুলে ধরা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশকে (টিআইবি) এক হাত নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সংস্থাটি একটি পক্ষের হয়ে ওকালতি করছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক ব্রিফিংযে তিনি এ মন্তব্য করেন।ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি যে ভাষায় কথা বলে টিআইবিও একই ভাষায় কথা বলে। তিনি বলেন, টিআইবি হচ্ছে বিএনপির দালাল। তাদের প্রত্যেকটা কথা একপেশে, বিএনপির ওকালতি করে তারা। তারা সরকার বিরোধী।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ইতিহাস থেকে উপলব্ধি করেছি, টিআইবি সব সময় আওয়ামী লীগ বিরোধী ছিল। সব সময় বিএনপির পক্ষে কাজ করেছে তারা। গবেষণা নিয়ে কাজ করে তারা। কিন্তু তাদের গবেষণায় আমরা নিরপেক্ষতা খুঁজে পাচ্ছি না।

পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রসঙ্গ টেনে কাদের বলেন, টিআইবি বলেছিল, পদ্মা সেতু অসম্ভব। সিপিডিও একই মন্তব্য করেছিল। কিন্তু বাস্তবতা কী দেশবাসী দেখেছে।

এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, কার্যনির্বাহী সদস্য সাঈদ খোকন, পারভীন জামান কল্পনা, মেরিনা জাহান কবিতা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একপাক্ষিক ও পাতানো, যেটি অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়নি। গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে শেষের এক ঘণ্টায় ১৫.৪৩ শতাংশ ভোটসহ মোট ৪১.৮ শতাংশ ভোট পড়া বিতর্কের জন্ম দিয়েছে বলে দাবি করে সংস্থাটি।

টিআইবির মতে, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং অংশগ্রহণমূলক দেখাতে নিজ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন করলেও বেশিরভাগ আসনে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। টিআইবি বলছে, নির্বাচনের এমন প্রক্রিয়া গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একপাক্ষিক ও পাতানো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়নি। সংসদে ব্যবসায়ী আধিপত্যের মাত্রাও একচেটিয়া পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। বেশিরভাগ আসনেই নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়নি। অন্তত ২৪১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ছাড়া অন্য দলের প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট ছিল না। প্রতিপক্ষের প্রার্থীদের এজেন্টদের হুমকির মাধ্যমে কেন্দ্রে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখা হয়।

Development by: webnewsdesign.com