জ্বালানি সাশ্রয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দফতর ও সংস্থাগুলোর সব সভা ভার্চুয়ালি করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।সোমবার (৮ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন ও সংস্থাপন শাখার উপসচিব সাইফুর রহমান খান স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।নির্দেশনায় বলা হয়, জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য শারীরিক উপস্থিতি পরিহার করে ভার্চুয়ালি সভা আহ্বান করা প্রয়োজন। এ ছাড়া যেসব সভা ঢাকার বাইরে অনুষ্ঠিত হবে তার লিংক সভায় অংশগ্রহণের সুবিধার্থে ভার্চুয়ালি প্রদান করা আবশ্যক।
এ অবস্থায় একান্ত অপরিহার্য না হলে জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে শারীরিক উপস্থিতির পরিবর্তে ভার্চুয়ালি সভা আহ্বানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।এদিকে মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে সোমবার দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার ‘রূপকল্প-২০৪১’ অর্জনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম নিয়ামক জ্বালানি খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট বিদেশি তেল কোম্পানি শেল অয়েল হতে ৫টি গ্যাসক্ষেত্র- তিতাস, হবিগঞ্জ, রশিদপুর, কৈলাশটিলা ও বাখরাবাদ কিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৯৭৫ সালের ১৪ মার্চ বাংলাদেশে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের ইএসএসও ইস্টার্ন ইন-কে সরকারিকরণ করে জ্বালানি তেলের মজুত, সরবরাহ ও বিতরণে পদক্ষেপ নেন। তার এ যুগান্তকারী ও দূরদর্শী সিদ্ধান্তে দেশে জ্বালানি নিরাপত্তার গোড়াপত্তন ঘটে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকারের সময়ে সুন্দলপুর, শ্রীকাইল, রূপগঞ্জ, ভোলা নর্থ ও জকিগঞ্জ নামে মোট ৫টি নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। আরও নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের জন্য বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার লাইন কিলোমিটার ২-ডি সিইসমিক জরিপ এবং ১ হাজার ৫৩৬ বর্গকিলোমিটার ৩-ডি সিইসমিক জরিপ কার্যক্রম চলছে। সরকার জ্বালানি খাতকে আধুনিক ও ডিজিটালাইজড করতে এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং প্রবর্তন এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্যাস ও কয়লার উৎপাদন বাড়াতে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। একই সঙ্গে দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জ্বালানি চাহিদা পূরণে গ্যাস উত্তোলন, প্রাকৃতিক গ্যাস ও খনিজ কয়লার মজুত নির্ধারণসহ সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো উন্নয়নে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভ পাওয়ার, সার, শিল্প, গৃহস্থালি, সিএনজি, ব্যবসা-বাণিজ্যে বর্ধিত হারে গ্যাস সরবরাহ করার ফলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়েছে। গ্যাসের অপচয় রোধে আবাসিক গ্রাহকদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনার কার্যক্রম বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় চার লাখ প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, সাশ্রয়ী ব্যবহার করার মাধ্যমে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ দিবসটি আমাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।
Development by: webnewsdesign.com