জৈন্তাপুর মহিলা মাদ্রাসা নিয়ে প্রকাশিত আপত্তিকর সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর ২০২০ | ৬:২৭ অপরাহ্ণ

জৈন্তাপুর মহিলা মাদ্রাসা নিয়ে প্রকাশিত আপত্তিকর সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
apps

জৈন্তাপুর জামেয়া ইসলামিয়া মহিলা মাদ্রাসা নিয়ে সিলেটের স্থানীয় কয়েকটি প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ায় আপত্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা,আজগুবী,কাল্পনিক ও অসত্য সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জৈন্তাপুর মহিলা মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি ও মাদ্রাসার উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান জৈন্তা ইসলামিক সোসাইটি।জানা যায়,জামায়াতের সাবেক উপজেলা আমীর সরকারী প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক ডাঃ জাকারিয়া,উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী গোলাম কিবরিয়া,জৈন্তাপুর সমাজসেবা অফিসের কর্মচারী জামাতকর্মী ঘুষখোর আলতাফ,সন্ত্রাসের গডফাদার আখলাকুল আম্বিয়া বখাটে হানিফ ও জামায়াত কর্মী বেলাল মাদ্রাসার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছেন।

মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) জৈন্তা ইসলামিক সোসাইটি ও জৈন্তাপুর জামেয়া ইসলামিয়া মহিলা মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি এডভোকেট আব্দুল আহাদ প্রেরিত এক প্রতিবাদ লিপিতে কমিটির সভাপতি এডভোকেট আব্দুল আহাদ, সহ -সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুল খালিক ও সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুর রহমান এক যৌথ বিবৃতিতে এ ধরনের অসত্য, মিথ্যা তথ্য নির্ভর, কাল্পনিক, আজগুবী ও সিন্ডিকেটেড সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, বিগত ২৩ নভেম্বর দৈনিক জালালাবাদ পত্রিকার প্রিন্ট ভার্সনে “জৈন্তায় মাদ্রাসা নিয়ে বিরোধ”, দৈনিক প্রভাতবেলার অনলাইন ভার্সনে “জৈন্তাপুর মহিলা মাদ্রাসার অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার এলাকাবাসী”,দৈনিক যুগভেরী পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে “জৈন্তিয়া জামিয়া ইসলামিয়া মহিলা মাদ্রাসা :জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎের অভিযোগ ” এবং অনলাইন মিডিয়া সিলেট প্রতিদিন ও এস এ নিউজে ‘জৈন্তা জামেয়া ইসলামিয়া মহিলা মাদ্রাসার অর্থ আত্মসাৎ অভিযোগে ফূসে উঠছে জনতা’ শীর্ষক উস্কানিমূলক, বিভ্রান্তিকর, কাল্পনিক, মানহানিকর, অসত্য ও ভিত্তিহীন কথামালা সাজিয়ে গোয়েবলসীয় কায়দায় সিন্ডিকেট সংবাদ প্রকাশিত হয়।

বিবৃতিতে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০০৭ সালে এলাকার কতিপয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় আমরা জৈন্তাপুর উপজেলা সদরে জৈন্তা জামেয়া ইসলামিয়া মহিলা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করি। সুদীর্ঘ ১৩ বছর যাবত মাদ্রাসার যাবতীয় কার্যক্রম প্রতিষ্ঠান পরিচালনাকারী ও উদ্যোক্তা সংস্থা জৈন্তা ইসলামিক সোসাইটি পালন করে যাচ্ছে। সোসাইটির নামে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে নামের ছাড়পত্র গ্রহণ করেছি।এটা বেআইনী কোন প্রতিষ্ঠান নয়। সভা, সমিতি ও সংগঠন করা প্রত্যেক নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। এটি হরণ করার দায়িত্ব রাষ্ট্র কাউকে দেয়নি। সংবাদে নিবন্ধনহীন সংগঠনের কথা উল্লেখ অমুলক ও ভিত্তিহীন প্রচারণা ছাড়া অন্য কিছু নয়।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, মাদ্রাসার কমিটি নিয়ে কোন বিরোধ নেই। এটি একটি নির্বাচিত কমিটি।সোসাইটি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত এ প্রতিষ্ঠানের কমিটিতে কোন আভ্যন্তরীণ কোন্দল নাই। কতিপয় দুষ্কৃতিকারী ও ষড়যন্ত্রকারী মাদ্রাসা ধ্বংসের হীন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছেন।এ সকল সন্ত্রাসীরা মাদ্রাসা বিরোধী তথা ইসলাম বিরোধী এক অপশক্তি। এখন করোনার বন্ধকালীন এরা মাদ্রাসা দখল করতে আবার নতুন করে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে।

বিবৃতিতে তারা বলেন, কমিটির সভাপতি এডভোকেট আব্দুল আহাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা। এতে সত্যের লেশমাত্রও নাই।বরঞ্চ মাদ্রাসা কমিটি অর্থ আত্মসাৎ ,বিশৃংখলা, দুর্নীতি ও অসদাচরণ সহ বিভিন্ন অভিযোগে প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত সুপার আব্দুল গাফফার কে বহিষ্কার করে। দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী ও চরিত্রহীন আব্দুল গাফফারের বরখাস্তের বিষয়টি কমিটি লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শিক্ষা অফিস সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবগত করে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ১৫ নভেম্বর জৈন্তাপুরে সন্ত্রাসের গডফাদার ভূমিখেকো আখলাকুল আম্বিয়ার প্ররোচনায় ও ইন্ধনে বখাটে সন্ত্রাসী হানিফ আহমদ, জৈন্তাপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসের ঘুষখোর কর্মচারী আলতাফুর রহমান , সন্ত্রাসী ও চোরাচালানী গোলাম কিবরিয়া ও হত্যা মামলার আসামী জালালাবাদ ‘র প্রতিনিধি বেলাল আহমদ কে সাথে নিয়ে সন্ত্রাসী বহিষ্কৃত সুপার গাফফার মাদ্রাসা দখল করতে যায়। এবং মাদ্রাসায় সরকারী কাজ ফাঁকি দিয়ে সরকারী কর্মচারী আলতাফুর ও সন্ত্রাসী হানিফ সেখানে অবস্থান করে গাফফার কে অনৈতিক কর্মকান্ডে সহযোগিতা করে। এ সময় গাফফার জোরপূর্বক দারোয়ান কে জিম্মি করে প্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্র, দলিল দস্তাবেজ ও অফিসিয়াল ডকুমেন্ট নিয়ে যায়। বরখাস্তকৃত সুপারের এমন কর্মকান্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা পারভীন কে অবগত করলে তিনি কড়া ভাষায় গাফফার কে শাসিয়ে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেন ও তাকে মাদ্রাসায় প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা দেন। সেই সাথে সন্ত্রাসের গডফাদার আখলাকুল আম্বিয়া, বখাটে হানিফ, সরকারী কর্মচারী আলতাফ, চোরাচালানী গোলাম কিবরিয়া গংদের মাদ্রাসায় যেতে নিষেধ দেন।

বিবৃতিতে কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেন, মাদ্রাসার উদ্ভুত পরিস্থিতিতে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস প্রতিষ্ঠানের কর্মরত শিক্ষকদের মধ্যে সবচেয়ে সিনিয়র শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত সুপারের সাময়িক দায়িত্ব প্রদান করতে কমিটির সভাপতি এডভোকেট আব্দুল আহাদ কে লিখিতভাবে অনুরোধ জানায়। কমিটি প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মাওলানা আনোয়ার হোসেন কে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব দিলে গত ১৮ নভেম্বর রাতের অন্ধকারে আখলাকুল আম্বিয়ার প্ররোচনায় ও ইন্ধনে সন্ত্রাসী গাফফার, হানিফ, আলতাফ ও কিবরিয়া ভারপ্রাপ্ত সুপার মাওলানা আনোয়ার হোসেন কে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে তার উপর তার বাড়িতে গিয়ে হামলা করে। এবং জোরে পদত্যাগে বাধ্য করতে অপচেষ্টা চালায়। এ সময় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ও উত্তেজিত জনতা সন্ত্রাসী হানিফ, আলতাফ, গাফফার ও কিবরিয়া কে আটক করে।

কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেন, আখলাকুল আম্বিয়া মাদ্রাসা কমিটির কোন সভাপতি নন। তিনি একজন সন্ত্রাসী ও জোরপূর্বক মাদ্রাসা দখলকারী। হানিফ একজন বখাটে কর্মহীন বেকার যুবক। আলতাফ সরকারী কর্মচারী হয়ে অফিস ফাঁকি দিয়ে সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত হরহামেশা। এ সকল সন্ত্রাসীদের মাদ্রাসা দখলের পায়তারা নতুন কিছু নয়। বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২১ নভেম্বর এ দখলকারি সন্ত্রাসীচক্র গোপনে মাদ্রাসা দখল করতে চাইলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ও বাঁধার মুখে তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারে নি। সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয় জৈন্তা মাদ্রাসার অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে এলাকাবাসী সোচ্চার। এটি ডাহা মিথ্যা। বরঞ্চ মাদ্রাসা দখলে পেরে উঠতে না পেরে আখলাকুল আম্বিয়া ও হানিফ চক্র মাদ্রাসা থেকে অনেক দূরে এক স্থানে বেআইনী সমাবেশ করে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আখলাকুল আম্বিয়া ও হানিফ গংদের মাদ্রাসা বিরোধী কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানান। এবং উপজেলা সমাজসেবা অফিসের ঘুষখোর কর্মচারী আলতাফুর সরকারী কাজ ফাঁকি দিয়ে অফিস সময়ে একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান দখলের নানামুখী ষড়যন্ত্রে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সংবাদ পত্র হলো সমাজের দর্পণ। সাংবাদিকরা জাতির জাগ্রত বিবেক। তারা বস্তুনিষ্ঠ ও সঠিক তথ্য নির্ভর সংবাদ প্রকাশে সংবাদকর্মীদের আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহবান জানান।

Development by: webnewsdesign.com