আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় মহামারী আকারে ছড়িয়েছে পীত জ্বর। চলতি নভেম্বর মাসে ১০ দিনের ব্যবধানে ভাইরাসঘটিত এ রোগে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ২২২ সন্দেহভাজন রোগী এবং ১৯ জন নিশ্চিত পীত জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে।
পীত জ্বর বা ইয়েলো ফিভারে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণসমূহ হলো জ্বর, ক্ষুধামন্দা, বমিভাব, মাংসপেশিতে ব্যথা (বিশেষ করে পিঠে), ও মাথাব্যথা। নাইজেরিয়ার রোগীদের মধ্যেও জ্বর, মাথা ব্যথা, জন্ডিস, পেটে ব্যথা, রক্ত বমির মতো উপসর্গ রয়েছে। মহামারী পীত জ্বর ঠেকাতে নাইজেরিয়ার চলছে টিকাদান কর্মসূচি।
পীত জ্বরের লক্ষণগুলো সাধারণত পাঁচ দিনের মধ্যে সেরে যায়। লক্ষণগুলো ভালো হওয়ার একদিনের মধ্যে পুনরায় জ্বর হতে পারে, পেটব্যথা শুরু হয় ও যকৃৎ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে জন্ডিস হতে পারে ও শরীর হলুদ হয়ে যায়। এইজন্য এই রোগের নাম পীত জ্বর রাখা হয়েছে। জন্ডিস হলে রোগীর রক্তক্ষরণ ও কিডনি ফেইলিওরের সম্ভাবনা বাড়ে।
এডিস ইজিপ্টি প্রজাতির মশা এই ভাইরাসের বাহক। এটি ফ্ল্যাভিভাইরাস গণের অন্তর্ভুক্ত একটি আরএনএ ভাইরাস। রক্ত নমুনা নিয়ে পলিমারেজ চেইন রিয়াকশন নামক পরীক্ষা করতে হয়। টিকার পাশাপাশি বাহক মশার বংশবৃদ্ধি ব্যাহত করতে হবে। উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করতে হয়, সুনির্দিষ্ট কার্যকর কোনো অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ নেই।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় দুই লাখ লোক পীত জ্বরে আক্রান্ত হয় ও প্রায় ত্রিশ হাজার মৃত্যুবরণ করে। বিশেষ করে আফ্রিকাতে এর প্রকোপ বেশি দেখা যায়।
Development by: webnewsdesign.com