জীবিত এরশাদ এর থেকে মৃত এরশাদকে সরকার বেশী ভয় পাচ্ছে। জীবিত এরশাদ ছিলেন মামলায় জর্জরিত, ছিল শৃঙ্খলীত। যার কারনে জন বিচ্ছিন্ন কোন সরকারের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন বিষয়ে আমাদের নেতা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মুখ খুলতে পারতেন না।
দল এবং দলের বাহিরে অনেকেই মনে করতেন, পল্লীবন্ধুর অবর্তমানে জাতীয় পার্টি থাকবে না,কয়েক খন্ডে খণ্ডিত হয়ে যাবে।কিন্তু বিধি বাম, তাদের সেই স্বপ্ন কে ভেঙে চুরমার করে দিয়ে একটি সফল সম্মেলনের মাধ্যমে, বেগম রওশন এরশাদ সহ পার্টির সকল সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সম্মতিক্রমে গোলাম মোহাম্মদ কাদের স্যারকে জাতীয় পার্টির দায়িত্ব প্রদান করেন।
দায়িত্ব গ্রহণ করার পর বিচক্ষণতা ও সর্তকতার সহিত সংগঠন কে এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। সরকার যখন সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন, জিকে শামিম, পাপিয়া,সম্রাট, বালিশ কাহিনি, মেজর সিনহা হত্যা,ধর্ষণ, লুটপাটের ঘটনা কে আড়াল করার জন্য নতুন আরেকটি ঘটনার জন্ম দিয়ে দেশটাকে যখন লাটিমের মতো ঘুরাচ্ছেন তখন অসৎ ব্যবসায়ীদের কালো থাবায় সাধারণ মানুষ বহুকষ্টে দিনাতিপাত করছে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জনাব গোলাম মোহাম্মদ কাদের যখন দূর্নীতির বিরুদ্ধে, সরকারের অব্যবস্হাপনার বিরুদ্ধে, জনগণের পক্ষে কথা বলছেন,জাতীয় পার্টিকে সুসংগঠিত করে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখন সরকার ইদানীং তার বক্তব্যে আমাদের নেতাকে দূর্নীতিবাজ, সৈরাচার বলে মুখরোচক বক্তব্য জনগণের নিকট উপস্থাপন করার চেষ্টা করছেন।
আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে অতীত ভুলে গেলে চলবে না।দীর্ঘ একুশ বছর পর জাতীয় পার্টির বৌদলতে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেছিলেন।সে দিন জেলখানায় বসে পল্লীবন্ধু এরশাদ যদি সমর্থন না দিতেন তাহলে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ হতেন।২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারীতে যদি জাতীয় পার্টির সমর্থন না পেতেন তাহলে দেশ ছেড়ে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের দেশান্তরি হতে হতো।একই অবস্থা হতো ২০১৯ সালের নির্বাচনে।
পক্ষান্তরে জাতীয় পার্টিকে কয়েক খন্ডে বিভক্ত করেছেন,ন্যায্য অধিকার থেকে বারবার বঞ্চিত করেছেন। দলকে বাম দলের মতো জনবিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র করেছেন। মনে রাখবেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা সবকিছু সহ্য করতে পারে কিন্তু প্রিয় নেতা এরশাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার মেনে নিতে পারে না।১৯৯০ সালের পর দেশ যেখানে দূর্নীতির সাগরে ভাসছে, গনতন্ত্রের নামে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ক্ষত বিক্ষত করা হচ্ছে, লুটপাট করে অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে সেখানে উপজেলা, গুচ্ছ গ্রামের প্রতিষ্ঠাতা,উন্নয়নের রুপকার পল্লীবন্ধু কে দূর্নীতিবাজ ও সৈরাচার বলা গনতন্ত্রের সাথে তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়।
আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের নিকট অনুরোধ করবো নূন্যতম কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মানসিকতা তৈরী করুন, পল্লীবন্ধুর শাসন আমল থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশ গঠনে মনোনিবেশ করুন, বেকারত্ব দূরীকরণে পরিকল্পনা গ্রহণ করুন,স্বাস্থ্য খাতের দূর্নীতি বন্ধ করুন, দলীয় নেতাকর্মীদের লুটপাট বন্ধ করে দেশ গঠনে ভুমিকা রাখতে বলুন তাহলেই আপনার নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে পল্লীবন্ধু’র সমালোচনা করে নয়।
লেখক: মিজানুর রহমান মিরু
শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক
জাতীয় পার্টি।
Development by: webnewsdesign.com