জিডিপির চেয়েও একসময় বেশি ছিল আদানির সম্পদ!

বৃহস্পতিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ৬:১২ অপরাহ্ণ

জিডিপির চেয়েও একসময় বেশি ছিল আদানির সম্পদ!
জিডিপির চেয়েও একসময় বেশি ছিল আদানির সম্পদ!
apps

গৌতম আদানি এখন আর এশিয়ার সেরা ধনী নেই। তার মোট সম্পদের পরিমাণ কমে গেছে ১০৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি। মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের একটা রিপোর্টের পরই আদানি সাম্রাজ্যে ধস নেমেছে।

টিআরটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের আগে আদানি গ্রুপের বাজার মূল্য ঠেকেছিল ২১৮ বিলিয়ন ডলারে। তার মালিকানাধীন ৭ প্রতিষ্ঠান আদানি পোর্টস, আদানি উইলমার, আদানি পাওয়ার, আদানি ট্রান্সমিশন, আদানি গ্রিন এনার্জি ও আদানি টোটাল গ্যাসের বাজার মূল্য এখন ক্রমাগত কমছে।

হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের আগে আদানি পরিবারের মালিকানাধীন ৭ কোম্পানি ও এর নিয়ন্ত্রণাধীন ৫৭৮ উপ-কোম্পানির হাতে যে সম্পদ ছিল, তা তেল সমৃদ্ধ দেশ কাতারের জিডিপির সমান। কাতার গত বছর ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করে তাক লাগিয়ে দেয় গোটা বিশ্বকে।

হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়, আদানি গ্রুপ শেয়ার জালিয়াতিসহ নানা প্রতারণামূলক কাজের মাধ্যমে গেল তিন বছরে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। এমন প্রতিবেদনের পরই কমতে থাকে আদানি গ্রুপের শেয়ারের দাম। সবমিলিয়ে ১০০ বিলিয়নের বেশি খোয়া গেছে।

এদিকে ভারতের কংগ্রেস, আম আদমিসহ সমমনা বিরোধী দলগুলো আদানি গ্রুপের জালিয়াতি ও প্রতারণার বিষয়ে সংসদীয় কমিটি অথবা সুপ্রিম কোর্ট মনোনীত কমিটির তদন্ত দাবি করেছে।

এর আগে বিরোধীদের আলোচনার দাবি ওঠার পরই পার্লামেন্ট অধিবেশন অকস্মাৎ মুলতবি ঘোষণা করা হয়।

ভারতের বিরোধীরা বলছে, জাতীয় স্বার্থেই আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে হিন্ডেনবার্গের আনা সব অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া জরুরি।

এর আগে শেয়ারের ক্রমাগত দরপতনের মাঝেই আদানি গ্রুপ তহবিল সংগ্রহকারী স্টক বিক্রির সিদ্ধান্ত বাতিল করার ঘোষণা দেয়। তাদের দাবি, গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সূত্র: টিআরটি, সিবিসি

Development by: webnewsdesign.com