জঙ্গি সংগঠন আইএস-বধূ শামীমাকে নিয়ে ডকুমেন্টারি বানিয়ে ক্ষোভের মুখে বিবিসি

শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ৪:৩৯ অপরাহ্ণ

জঙ্গি সংগঠন আইএস-বধূ শামীমাকে নিয়ে ডকুমেন্টারি বানিয়ে ক্ষোভের মুখে বিবিসি
জঙ্গি সংগঠন আইএস-বধূ শামীমাকে নিয়ে ডকুমেন্টারি বানিয়ে ক্ষোভের মুখে বিবিসি
apps

শামীমা বেগম, একটি আলোচিত নাম। আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট তথা আইএসে যোগ দিতে সিরিয়া পাড়ি জমিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। পরবর্তীতে বেশ কিছু দিন আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল হওয়া এই তরুণী। এবার সেই শামীমাকে নিয়ে তথ্যচিত্র বানিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়ল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

এমনকি এ ঘটনায় খোদ ব্রিটেনেই বিবিসিকে ‘বয়কট’ করার ডাক উঠল। ২০১৫ সালে জঙ্গি সংগঠন আইএসে যোগ দেওয়া শামীমা বেগম পরে সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসেন। তার জীবনের ওপর ৯০ মিনিটের তথ্যচিত্র বানিয়েছে বিবিসি। ওই তথ্যচিত্রে শামীমার জীবনের নানা ওঠাপড়া তুলে ধরা হয়েছে।
শামীমার জীবনও অবশ্য কম চিত্তাকর্ষক নয়। ২০১৫ সালে দুই বন্ধুর সঙ্গে ব্রিটেন ছেড়ে সিরিয়ায় পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। তখন তার বয়স ছিল ১৫ বছর। দুই বন্ধু হলেন খাদিজা সুলতানা ও আমিরা আব্বাসি। তখন খাদিজার বয়স ছিল ১৬ বছর, আমিরার ১৫ বছর। তারা যোগ দিয়েছিলেন আইসিসে।

জঙ্গি শিবিরে পৌঁছেই আইএসের এক শীর্ষ কর্মকর্তাকে বিয়ে করেন শামীমা। সে কারণে জঙ্গি শিবিরে তার নামই হয়ে যায় ‘জিহাদির স্ত্রী’। কিন্তু ৩ বছরের মধ্যেই মোহভঙ্গ হয় শামীমার। ২০১৯ সালে তিনি আবারও ব্রিটিশ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তার সেই আবেদন নাকচ করে দেয় ব্রিটিশ প্রশাসন। তারপর থেকে উত্তর সিরিয়ার এক প্রান্ত থেকে নাগরিকত্ব পাওয়ার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন শামীমা।

এর আগেও ১০ পর্বে শামীমাকে নিয়ে একটি ধারাবাহিক তৈরি করেছিল বিবিসি। অভিযোগ, ওই ধারাবাহিকে ‘সহানুভূতি’র সঙ্গে দেখানো হয়েছে তার জীবনসংগ্রামকে। কিন্তু শামীমার প্রতি সহানুভূতি দেখাতে নারাজ ব্রিটেনের নাগরিকদের একাংশ। তারা সরাসরি বিবিসির উদ্দেশে তোপ দেগে জানিয়েছেন, এমন চলতে থাকলে তারা নতুন করে বিবিসির সাবস্ক্রিপশন নবায়ন করবেন না। একজন ‘জঙ্গি’কে কেন ‘আক্রান্ত’ হিসেবে দেখানো হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা। তাদের একাংশের দাবি, পরেও বহু সাক্ষাৎকারে চরমপন্থার পক্ষে অবস্থান নিতে দেখা গেছে শামীমাকে।

কিছু দিন আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি করেও বিতর্কের মুখে পড়েছিল বিবিসি। গুজরাট দাঙ্গায় মোদীর ভূমিকাকে তুলে ধরার দাবি জানালেও এই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির বিরুদ্ধে ভারতের ভাবমূর্তি খাটো করার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে মামলাও হয়। এবার নিজেদের দেশেই ক্ষোভের মুখে পড়ল বিবিসি। সূত্র: দ্য সান, ডেইলি মেইল, দ্য টাইমস, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউকে

Development by: webnewsdesign.com