রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ৪:৪৯ অপরাহ্ণ
বৈশ্বিক দুর্যোগ চলমান করোনা মহামারীর কারণে দেশব্যাপী এবারের বসন্ত বরণ আয়োজন স্বল্প পরিসরের ও সীমিত সময়ের জন্য সীমাবদ্ধ হলেও এবছর বসন্তের ছোঁয়া লাগেনি পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে।
জানা যায়, পুরান ঢাকায় বসন্ত বরণের জন্য বরাবরই বিখ্যাত জবি ক্যাম্পাস। বসন্তের সাজে এদিন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, দর্শনার্থী ও পুরান ঢাকাবাসীর সরব উপস্থিতি থাকে জবিতে। প্রতিটি বিভাগেই থাকে আলাদা-আলাদা আয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান মিলনায়তন, ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচতলা, ইউটিলিটি ভবন, কলাভবন, পোগজ স্কুল প্রতিটি জায়গা ঘিরে থাকে বসন্তবরণের ব্যস্ততা। বিশেষ করে এইদিন ঘিরে বাংলা বিভাগ ও চারকলা বিভাগের আয়োজন থাকে চোখে পড়ার মত। এছাড়াও থাকে উদীচী, বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ অন্যান্য সংগঠনের কর্মসূচী।
এদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় ১১ মাস ধরে জবি ক্যাম্পাসের নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। ফলে ক্যাম্পাসেও শিক্ষার্থীদের তেমন উপস্থিতি নেই। তাই এ বছর ছিলো না কোনো আয়োজন। ক্যাম্পাসে আয়োজন না থাকলেও সীমিত পরিসরে অনলাইনে আয়োজন রাখছে বাংলা বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১৪ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মিথিলা দেবনাথ ঝিলিক বসন্তবরণের স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমাদের বিভাগের বসন্তবরণ উৎসবকে আমরা ভর্তা উৎসব বলতাম। ২৫-৩০ রকমের ভর্তার আয়োজন করা হতো আমাদের বিভাগের বসন্ত বরণ আয়োজনে। বন্ধু-বান্ধব, শ্রদ্ধেয় শিক্ষকবৃন্দ, সিনিয়র-জুনিয়র সবাইকে খুব বেশি মনে পড়ছে এখন।
বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি ফাইয়াজ হোসেন বলেন, ‘সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিটি ঋতুকে বরণ করতে বিভিন্ন আয়োজন হাতে নেই। কিন্ত এবছর করোনার কারণে অনলাইনে বসন্ত বরণ করছি আমরা। বসন্তের আগমনের সাথে সাথে সুস্থ হয়ে উঠুক পৃথিবী এটায় কামনা।’
বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. পারভীন আক্তার জেমী বলেন, ‘জবিতে বসন্ত বরণ মানে বাংলা বিভাগ। সবচেয়ে বড় আয়োজনটা বাংলা বিভাগই করে জবিতে। অন্য বছরগুলোতে একমাস আগে থেকেই আমাদের প্রস্তুতি শুরু হতো। কে কোন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করবে, কোন নাটকটা হবে, কিভাবে মঞ্চ সাজানো হবে, এমন কতরকম ব্যস্ততা থাকতো মাসজুড়ে। সেসবদিনগুলো আজ খুব বেশি মনে পড়ছে। এখন শুধু পৃথিবীর সুস্থ হওয়ার অপেক্ষায় আমরা। দ্রুত ফিরতে চাই ক্যাম্পাসে, যেন আগামীতে ক্যাম্পাসে বাংলা বর্ষবরণটা করতে পারি।’
বাংলাদেশ মিডিয়া/এসআরসি-১৪