জগন্নাথপুরে এক আলেম এর উপর অতর্কিত হামলা

মঙ্গলবার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ৪:৫৭ অপরাহ্ণ

জগন্নাথপুরে এক আলেম এর উপর অতর্কিত হামলা
প্রতিকী ছবি
apps

সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার আষাঢ় কান্দি ইউনিয়নের বড় ফেসি গ্ৰামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।এলাকার প্রবীন মুরব্বি বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন এর উপর অতর্কিত হামলার ঘটনায় এলাকাবাসী আলেম সমাজ, নারী – পুরুষসহ সকল শ্রেনী ও পেশার মানুষের মধ্যে বইছে চাপা ক্ষোভ ও তীব্র নিন্দার ঝড়। এলাকাবাসী জানান মাওলানা খাজা আজিজুল বারীর সঙ্গে একই গ্রামের মৃত হাজী কাচা মিয়ার ছেলে ছুরত মিয়া গংদের সাথে মাদ্রাসার জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে আদালতে মামলা মোকদ্দমা ও রয়েছে। এরই জের ধরে
গত ১৫ জানুয়ারি খাজা আজিজুল বারী বড় ফেসি জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় করে বাড়িতে যাওয়ার সময় ছুরত মিয়ার ছোট ভাই হিরন মিয়া খাজা সাহেবকে অকত্য ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং হামলার চেষ্টা চালায় কিন্তু মানুষের উপস্থিতির কারণে সফল হতে পারেনি। পরে গত ১৮ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে খাজা আজিজুল বারী তিনির বোনের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে যাওয়ার সময় ছুরত মিয়ার বাড়ীর পাশে পেয়ে অকত্য ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে তিনির উপর অতর্কিত ভাবে জাহিলের মত হামলা চালিয়ে তিনির উপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করে।যা জাহিলিয়াতকেও হাড় মানায়। এলাকাবাসী বলেন ছুরত মিয়া গংদের এটা তাদের নতুন কোন ঘটনা নয় ,এধরনের অসংখ্য ঘটনা তারা করেছে যা বলে শেষ করা যাবে না। এলাকার কোন লোক ছুরত মিয়া গংদের বিরুদ্ধে কথা বলার ক্ষমতা নেই , প্রতিবাদ করাত দুরের কথা। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। ছুরত মিয়া গংরা প্রায় ৩০ বছর পূর্বে এলাকায় একমাত্র ইসলামী প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসা ভেঙ্গেচুরে তছনছ করে ফেলে এরপর থেকে আজ পর্যন্ত গ্ৰামে আর মাদ্রাসা স্হাপন হয়নি। ২০০৫ সালে গ্ৰামের প্রবীন মুরব্বি আছাব মিয়া মেম্বার ও তিনির ভাতিজা আনছার মিয়াকে ফেছি বাজার যাওয়ার সময় রাস্তায় ছুরত মিয়া তার ছোট ভাই হিরন মিয়া ও ছেলে কামরুল তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে আনছার মিয়া গুরুতর আহত হয়ে সিলেট উসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন । হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে, মামলা নং ১৫৩ ।
এছাড়াও কালবার্ট নির্মাণকে কেন্দ্র করে ( দিঘলবাক) আটঘর নিবাসী নওশের মিয়াকে মারপিট করেন। এলাকাবাসী আর জানান আনুমানিক তিন বছর পূর্বে শালিশী বৈঠককে কেন্দ্র করে মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে মতিন মিয়াকে বড় ফেছি বাজারে প্রকাশ্যে দিবালোকে হামলা চালায়।
হামলার ঘটনায় জগন্নাথপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগটি থানার সাবেক এস আই কবির উদ্দিন তদন্ত করেন। এছাড়াও পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে নবীগঞ্জ নিবাসী জুনেদ মিয়ার মটর সাইকেল আটক করে,পরে আপোষে নিষ্পত্তি হয় । এলাকাবাসী দুঃখ ভাড়াক্রান্ত হৃদযে বলেন, তাদের অত্যাচার থেকে কাজের মেয়ে ও রেহাই পায়নি। বিগত ৪ বছর পূর্বে ছুরত মিয়ার ছোট ভাই হিরন মিয়া কাজের মেয়ে বেগম কে মারপিট করে গুরুতর আহত করে । বিষয়টি শালীস বৈঠকে এলাকার মান্য ব্যাক্তি বর্গের উপস্থিতিতে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে নিষ্পত্তি করা হয়।এ বিষয়ে জানতে চাইলে হামলাকারীর ছুরত মিয়া হামলার কথা অস্বীকার করে এবং তিনির সাথে জায়গা জমি নিয়ে মামলা মোকদ্দমার কথা স্বীকার করে বলেন চিনির সাথে ঐ দিন আমার তর্কবিতর্ক হয়েছে । বিষয়টি আপোষে নিষ্পত্তি হয়েছে।এলাকার গন্যমান্য শালিসী ব্যক্তিবর্গ অনেকেই বলেন বিষয়টি আগামী বৃহস্পতিবারে শালীস বৈঠকের দিন ধার্য করেছে। এলাকাবাসীর দাবি হামলাকারীরা যতবড় শক্তিশালী হউক না কেন তাদেরকে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে পুলিশ প্রশাসন গোয়েন্দা সংস্থা সহ সরকারের উর্দতন কতৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কাম্য ।

Development by: webnewsdesign.com