পেটে ব্যথা থেকে শুরু করে মাথাব্যথা, ব্যাপক ঘুম কিংবা অনিদ্রা, খিদে না-লাগা বা খাই খাই ভাব- বহু ক্ষেত্রেই কারণ কিন্তু চাপে থাকার ফল। এই ছোট একটা শব্দই এখন জীবনের অনেকটা জায়গা দখল করে রেখেছে। চাপ মানে সোজা বাংলায়, মানসিক প্রেশার। চাপ কাটাতে অনেকেই মদ্যপান বা ধূমপান করেন। কেউ আবার পটাপট একটার পর একটা মিষ্টি খেয়ে নেন কিংবা কখনো ওই চাপের চোটেই খেয়ে ফেলেন অনেক কিছু। কিন্তু এসবের ফলে চাপ সাময়িকভাবে কমলেও শেষে বেড়ে যায়।
সে কারণে, এভাবে চাপের কাছে আত্মসমর্পণ না-করে যদি নতুন বছরে কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের মাধ্যমে চাপ কমানোর অঙ্গীকার করা যায়, তাহলে খারাপ কি।
অনেকেই বলছেন, ২০২০ সালে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস দিয়েই চাপ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করবেন। শরীরচর্চা, স্বাস্থ্যকর খাবার ও ইতিবাচক ভাবনা এ ক্ষেত্রে অনেকের মূলমন্ত্র। কারণ, জীবন তো একটাই। চাপের মধ্যে সেটা কাটানোর মানে হয় না।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং গবেষকরাও বলছেন, স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের মাধ্যমে চাপ কাটানো দিয়েই নতুন বছর ও নতুন একটা দশক শুরু হোক।
কর্মক্ষেত্রই হোক কিংবা অবসরকালীন দিনযাপন, ঘরকন্নাই হোক বা পড়াশোনা- চাপ থেকে যেন নিস্তার নেই। বিশেষজ্ঞরা কিন্তু জানাচ্ছেন, চাপ হলো অত্যন্ত স্বাভাবিক এক মানবিক প্রতিক্রিয়া এবং এর পুরোটা যে আমাদের খারাপ করে, তেমনটা মোটেও নয়। বিশিষ্ট নিউরো সাইকিয়াট্রিস্টরা বলছেন, চাপের দু’টি ভাগ রয়েছে। ইউসস্ট্রেস ও ডিস্ট্রেস। ইউসট্রেস কিন্তু আসলে পারফরম্যান্স বাড়াতেই সাহায্য করে। বিপদ বাধায় অন্যটা।
ডিস্ট্রেস বেশি হলে মস্তিষ্কের ভেতরের একটি অংশে রক্ত সরবরাহ বেড়ে যায়, বাড়তে থাকে আমাদের রক্তচাপ এবং আমাদের উদ্বেগ হতে থাকে। যাকে বলা যায়, স্ট্রেসের প্রথম উপসর্গ। এই পরিস্থিতিতে মদ, মিষ্টি বা এ ধরনের খাবারের প্রতি মানুষের আসক্তি তৈরি হয়
আবার চিকিৎসকরা বলছেন, এসব জিনিস শরীরে সুদূরপ্রসারী কুপ্রভাব ফেলে। কিন্তু ভালো অভ্যাস কি সত্যিই চাপ কমাতে পারে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একজন ব্যক্তির ওপর চাপ কতটা প্রভাব ফেলবে, তার অনেকটাই নির্ভর করে জিনের বিন্যাসের ওপর। কিন্তু বেড়ানো, সঙ্গীত, শরীরচর্চা- এসব চাপ কমাতে কাজ করে। নিয়মিত যোগাভ্যাসে চাপ কমে, বাড়ে মনঃসংযোগও।
Development by: webnewsdesign.com