চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে কুপ্রস্তাব, পদ হারালেন কর্ণাটকের মন্ত্রী

বৃহস্পতিবার, ০৪ মার্চ ২০২১ | ৩:৩০ অপরাহ্ণ

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে কুপ্রস্তাব, পদ হারালেন কর্ণাটকের মন্ত্রী
apps

সরকারি চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাবের সেই অডিও-ভিডিও ভাইরাল হওয়ার দায়ে পদ হারালেন ভারতের দক্ষিণ পশ্চিমের রাজ্য কর্ণাটকের এক মন্ত্রী।

কর্ণাটকের পানিসম্পদ মন্ত্রী রমেশ জারকিহোলি এমন ভাইরাল ভিডিওতে চরম অস্বস্তিতেও পড়েছে রাজ্যে বি এস ইয়েদুরাপ্পার বিজেপি সরকার।

ওই ভিডিওতে এক তরুণীকে সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে কুপ্রস্তাব রাখতে দেখা যায় মন্ত্রীকে। রমেশ জারকিহোলি একটি অডিও ক্লিপও প্রকাশ্যে এসেছে।

মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) সেই ভিডিও ও অডিও ক্লিপ ফাঁস হয় ভারতীয় গণমাধ্যমে। পরে দীনেশ কালাহাল্লি নামে এক সমাজকর্মী ওই তরুণীর পক্ষ হয়ে বেঙ্গালুরুর কাব্বন পার্ক থানায় মন্ত্রী জারকিহোলির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।

আর এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় নড়েচড়েও বসেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে করণীয় নির্ধারণে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকও করেন তিনি। পরে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে নির্দেশ দেয়া হয় জারকিহোলিকে। একপ্রকার দলীয় চাপের মুখেই মন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা দেন তিনি।

রাজ্য বিজেপির দলের পক্ষ থেকে, নৈতিকতার কারণেই তার এই পদত্যাগ বলে জানানো হয়েছে।

আর রমেশ জারকিহোলি তার ইস্তফা পত্রটি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছে নিজের বিধায়ক ভাই বালাচন্দ্র জারকিহোলির মাধ্যমে।

সম্পূর্ণ ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন বিজেপি বিধায়ক বালাচন্দ্র জারকিহোলি।

মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পাকে দেওয়া চিঠিতে রমেশ জারকিহোলি জানিয়েছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ওটা সব অভিযোগ সত্যের থেকে অনেক দূরে। প্রকৃত সত্য উদঘাটনে সিবিআই তদন্ত হোক। জানি আমি নির্দোষ, কিন্তু নৈতিক কারণে আমি পদত্যাগ করছি। দয়া করে আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করবেন।’

যখন দেশটির পাঁচ রাজ্যে ভোটের দিন ঘোষণা হয়ে গেছে ঠিক ওই মুহূর্তে মন্ত্রীর এই বিতর্কিত ভিডিওতে চাপে পড়ে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা দলের নেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক সারেন। তারপরই তড়িঘড়ি মন্ত্রিত্ব থেকে রমেশ জারকিহোলিকে ইস্তফা পেশের নির্দেশ দেয় দল। কিন্তু তাতে প্রথমে রাজি ছিলেন না কর্ণাটকের পানিসম্পদ মন্ত্রী। গোটা বিষয়টিকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করেন তিনি। জানিয়েছিলেন, তিনি নির্দোষ, ওই মহিলাকে তিনি চেনেন না। দোষ প্রমাণিত হলে পদত্যাগ করবেন তিনি। তবে, শেষ পর্যন্ত দলের চাপেই ইস্তফা দিলেন রমেশ জারকিহোলি। যদিও বিজেপির তরফে এই ইস্যুতে সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস (বাংলা)

Development by: webnewsdesign.com