চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে আধুনিক প্রযুক্তি ‘সমলয় পদ্ধতি- তে ধান চাষ শুরু হয়েছে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে বীজতলা থেকে ফসল ঘরে তোলা পর্যন্ত কৃষকগণ যন্ত্র ব্যবহার করবে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে ধান চাষে খরচও কম হওয়ায় কৃষকরা ধান চাষ করে অধিক লাভের মুখ দেখতে পাবে বলে কৃষি বিভাগ মনে করছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গোমস্তাপুরে সমলয় পদ্ধতির মাধ্যমে ধান চাষ করার জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে রহনপুর ইউনিয়নের ষাড়বুরুজ এলাকার কৃষক তোফাজ্জুল হোসেন বলেন, আগে এক বিঘা জমির ধান ঘরে তুলতে চাষাবাদ বাবদ ১৩ থেকে ১৪ হাজার টাকা খরচ হতো। কিন্তু সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষ করে খরচের মাত্রা ৬/৭ হাজার টাকা কমে যাবে। তিনি এবার সমলয় পদ্ধতিতে ৫ বিঘা বোরো ধান রোপন করছেন।
গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভির আহমেদ সরকার জানান, আধুনিক কৃষির সময়োপযোগী প্রযুক্তি হচ্ছে সমলয় পদ্ধতি। নতুন এই পদ্ধতিতে বীজতলা থেকে ফসল কাটা সবই একযোগে করা হবে এবং এতে উৎপাদন খরচ অনেক কম হবে। পরীক্ষামূলকভাবে এই পদ্ধতির মাধ্যমে রহনপুর ইউনিয়নের ষাড়বুরুজ এলাকায় প্রায় ৫০ একর জমিতে ধান রোপন শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, অপচয় রোধে প্রচলিত চাষাবাদের রীতি বাদ দিয়ে প্লাস্টিকের ট্রেতে লাগানো হয়েছে ধানের বীজ। এই বীজ থেকে চারা উৎপাদন হবে ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে। অতঃপর রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ করা হবে। এক একর জমিতে চারা রোপণ করতে সময় লাগবে এক ঘণ্টা। এছাড়া ধান পেকে যাবার সময় হারভেস্টার মেশিন দিয়ে একই সময়ে ধান কাটা ও মাড়াই করা যাবে। বেশী জমিতে চাষাবাদ করার ক্ষেত্রে এই যন্ত্রের ব্যবহারের মাধ্যমে খরচ হবে সাশ্রয়ী। হাইব্রিড জাতের এসএল-৮ এইচ ধান বিঘা প্রতি ৪০ মণের মতো হবে বলেও জানান তিনি।
Development by: webnewsdesign.com