চলছে মাদকের রমরমা কারবার, ফায়দা লোটেন ইনচার্জ

শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল ২০২১ | ৪:০৩ অপরাহ্ণ

চলছে মাদকের রমরমা কারবার, ফায়দা লোটেন ইনচার্জ
apps

রাজশাহী গোদাগাড়ীর দাশপুকুর ও হরি সংখেরপুর, পিরিজপুর এলাকায় চলছে মাদকের কারবার। হেরোইন,ইয়াবাসহ বড় ধরনের মাদক চালান পরিবহন করা হচ্ছে এ অঞ্চল দিয়ে। অভিযোগ উঠেছে ফায়দা লুটছে প্রেমতলী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ লোটেন। মাঝেমধ্যেই মাদক চালান বহনকারী ধরা পড়লেও মাদকে মূল হোতা মশিউর রহমানরা থেকে যাচ্ছে আড়ালে।

হেরোইন, ইয়াবা সিন্ডিকেটের গডফাদার মশিউর রহমান প্রেমতলী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ’র নিজের লোক হিসাবে জানেন এলাকাবাসী। দুপুরের পর এই তিনটি সড়ক মোটরসাইকেলের মিছিলে মুখর হয়ে উঠে। সবার গন্তব্য দাশপুকুর ও হরি সংখেরপুর, পিরিজপুর ও আশপাশের মাঠ। এসব মাঠের মধ্যে প্রতিদিন বসে মাদকের হাট। এখানে বিক্রি হয় ফেনসিডিল, ইয়াবা ও হেরোইন। রাজশাহী মহানগর ছাড়াও নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মাদক সেবনের তীব্র নেশায় মোটরসাইকেল নিয়ে ছুটে আসে শতশত মানুষ। এখানে বিক্রি হয় ফেনসিডিল, ইয়াবা ও হেরোইন। এক বছর ধরে দুইটি সিন্ডিকেট মাদকের এই কারবার নিয়ন্ত্রণ করছে। রহস্যজনক কারণে পুলিশ এহেন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, দুপুরের পর থেকেই মাদকসেবীদের মোটরসাইকেলের মিছিল শুরু হয়। কেউ ছুটছে খেতে আবার কেউ ফিরছে খেয়ে ও পকেটে নিয়ে। প্রতিটিতেই যাত্রী তিনজন। ফেনসিডিলের তীব্র নেশায় তারা পাগলের মতো ছুটে আসে শহর থেকে। ওই মাঠের মধ্যে ছোট ছোট টংঘরে ফেনসিডিলের ব্যাগ নিয়ে বসে থাকে বিক্রেতারা। ইশারা দিলেই একজন ছুটে আসে সড়কের ধারে। টাকা নিয়ে যায়। কয়েকশ’ গজ সামনে গেলেই আরেকজনের কাছ থেকে মিলে ডেলিভারি। মাঠের মধ্যে ছিপি খুলে মাল সাবাড় করে সড়কের ধারে বোতলটি ছুড়ে দেয়। একটানে পৌঁছে যায় গোপালপুর মোড়ে। সেখানে কড়া দুধ-চা খেয়ে মাদকসেবীরা ফিরে যায় গন্তব্যে। এভাবে প্রতিদিন প্রকাশ্যে মাদকসেবীদের এই ছুটে চলা অব্যাহত থাকে গভীর রাত পর্যন্ত। এখানে বিক্রি হয় ফেনসিডিল, ইয়াবা ও হেরোইন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, হরি সংখেরপুর এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে মশিউর রহমান ও হরি সংখেরপুর এলাকার টেকেন আলীর ছেলে আবির,একি এলাকার মাশাউরের ছেলে রাব্বিসহ ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল ফেনসিডিল, ইয়াবা ও হেরোইন বিক্রি করে। অনন্য দিকে,দাশপুকুর এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে নুরু ,নাইমা,সনেট এই সিন্ডিকেটে নারীসহ ৫ থেকে ৭ জনের একটি দল এখানে বিক্রি হয় ইয়াবা ও হেরোইন। প্রতিদিন পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার লোকজন তাদের কাছে আসে টাকা নিতে।

এলাকাবাসীর দেওয়া তথ্য মতে, মহাসড়কের রেস্টুরেন্ট ও চায়ের দোকানগুলো সন্ধ্যার পর মাদকসেবীদের মিলনক্ষেত্রে পরিণত হয়। মাদকসেবীদের মিষ্টি ও দুধ-চিনির কড়া চায়ের জোগান দিতে হিমশিম খেতে হয় দোকানিদের। মাদকসেবীদের এই মজমা চলে গভীর রাত অবধি। তাদের সারি সারি মোটরসাইকেল অনেক সময় সড়কে যান চলাচলেও বিঘ্ন সৃষ্টি করে।

প্রকাশ্যে মাদকের একাধিক হাট চলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতেখায়ের আলম বলেন, অভিযোগ পেলেই থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে থাকে। অভিযোগ সত্য হলে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

Development by: webnewsdesign.com