ছোট পর্দার ব্যস্ত অভিনেত্রী ফারজানা ছবি। ১৯৯৮ সালে আব্দুল্লাহ আল মামুনের ‘চিঠি’ শিরোনামে একটি নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে টেলিভিশন নাটকে তার অভিষেক হয়। ছোট পর্দার বাইরে নতুন বছরে এ অভিনেত্রীকে দেখা গেছে বড় পর্দায়। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত চলচ্চিত্র ‘জয়নগরের জমিদার’। এ চলচ্চিত্র ও সমসাময়িক নানা বিষয়ে কথা হয় তার সঙ্গে। কথা বলেছেন এন আই বুলবুল
‘জয়নগরের জমিদার’ ছবির জন্য দর্শকের কেমন সাড়া পেলেন?
আমার অভিনীত প্রথম বাণিজ্যিক ঘরানার চলচ্চিত্র এটি। এছাড়া এটি ২০২০ সালের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিও। তাই এ ছবির দিকে চলচ্চিত্রের সকলের চোখ ছিল।
এরইমধ্যে কাছের বা পরিচিত যারা ছবিটি দেখেছেন তারা প্রশংসা করেছেন। দর্শকের কাছ থেকেও এই ছবির জন্য বেশ সাড়া পাচ্ছি। দর্শকের ভালোবাসায় চলচ্চিত্রে কাজ করার আগ্রহ বেড়ে গেল।
নতুন বছরের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র হিসেবে কি এই ছবিতে দর্শকের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে বলে মনে করেন?
দর্শকের প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ হয়েছে সেটি আমি বলবো না। তবে ছবিটি যারা দেখেছেন, তারা সন্তুষ্ট এটি বলতে পারি। একটা বিষয় বলতে হয়, গেল বছর আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য খুব বেশি ভালো ছিল না। এটি অস্বীকার করার কিছু নেই। সেটির একটা প্রভাব আমাদের এখনো আছে। আমি আশা করছি নতুন বছরে অন্য সব ছবির মধ্য দিয়ে সেই মন্দাবস্থা দূর হয়ে যাবে।
এই চলচ্চিত্রে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছু বলুন?
চলচ্চিত্রের চলমান অস্থিতিশীল সময়ে এ ধরনের একটি ইতিহাস নির্ভর ভিন্নধারার সিনেমা নির্মাণের জন্য এই মাধ্যমের প্রতি ভালোবাসা এবং কাজের প্রতি নিষ্ঠা, দুটোই প্রয়োজন। এই সিনেমার সামগ্রিক আয়োজন ছিল বেশ বিস্তৃত এবং অভিনয় শিল্পীরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ ভালো কাজটুকু দর্শকদের দেয়ার চেষ্টা করেছেন।
বর্তমানে চলচ্চিত্র নির্মাণের সংখ্যা আশংকাজনক হারে কমে যাচ্ছে। এর কি কি কারণ আছে বলে আপনি মনে করেন?
আমাদের দেশীয় চলচ্চিত্রে অর্থ লগ্নীকারকেরা পিছিয়ে গেছেন বিভিন্ন কারণে। একইসঙ্গে সিনেমা হলের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। প্রায় ১৩০০ হল কমে মাত্র ২৫০ এ এসে দাড়িয়েছে। বহুদিনের ঐতিহ্যবাহী সিনেমা হলগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যদি সিনেমা প্রদর্শনের জন্য হলই না থাকে তবে ছবি নির্মাণ তো ধীরে ধীরে কমবেই।
চলচ্চিত্র নাকি নাটকে নিয়মিত থাকবেন?
দুই মাধ্যমেই কাজ করতে চাই। দর্শক নাটকে আমাকে যেমন বৈচিত্র্যময় সব চরিত্রে দেখেছে ফিল্মেও আমার সেই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সত্যি বলতে কি, আমি তো অভিনয়ের মানুষ, অভিনয় আমার প্রাণের স্পন্দন। অভিনয়ের মাধ্যমগুলোকে কখনো আলাদা করে ভাবিনি। আমার কাছে কাজটাই মূখ্য। তাই সব মাধ্যমেই নিরলস ভাবে কাজ করে অভিনয়ের মাঝে বেঁচে থাকতে চাই।
বর্তমানে আর কি কি কাজ করছেন?
বিভিন্ন উৎসবের একক নাটকের বাইরে বেশ কিছু ধারাবাহিক নাটকে নিয়মিত কাজ করছি। এগুলো হলো কায়সার আহমেদের ‘বকুলপুর, সৈম্য নজরুলের ‘মেছো তোতা গেছো ভূত’, মুজিবুর রহমান খোকনের ‘আরশীনগর’, অরণ্য আনোয়ারে ‘চান্দের বুড়ী নোয়াখালী’।
বর্তমানে টিভি ধারাবাহিকের গল্প নিয়ে দর্শকের নেতিবাচক মন্তব্য শোনা যায়। এ প্রসঙ্গে আপনি কি বলবেন?
একটা সময় আমাদের শুধু বিটিভি ছিল। ফলে দর্শকের চোখ এই এক চ্যানেলের দিকে থাকতো। এখন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের টিভি চ্যানেলের সংখ্যা বেড়েছে। নাটকের সংখ্যাও বেড়েছে। একাধিক চ্যানেল হওয়াতে দর্শক সব নাটক দেখার সুযোগ পাচ্ছে না। এর ফলে অনেক সময় ভালো নাটকও দর্শকের আলোচনায় আসছে না। তবে আমি মনে করি আমাদের টিভি ধারাবাহিক এখনো অনেকটা পারিবারিক গল্পেই নির্মাণ হচ্ছে।
Development by: webnewsdesign.com