গ্রাহকের অনুমতি ছাড়া এবং মোবাইল কোম্পানিগুলোর রিক্যুইজিশন ব্যতিত কললিস্ট জব্দ ও কথোপকথন রেকর্ড করে ফাঁস করার অভ্যাস বন্ধের পক্ষে অভিমত দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ডিজিটাল ডকুমেন্টসমূহ সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহারের জন্য সাক্ষ্য আইন সংশোধনের ক্ষেত্রেও অভিমত দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) শিশু সৈকত হত্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৪৯ পৃষ্ঠার প্রকাশিত রায়ে আদালত এসব মতামত তুলে ধরেন।
এর আগে বিচারপতি মো. শওকত হোসেন, বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিনের বৃহত্তর হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায়ে সাক্ষর করেন।
মামলার বিবরণী সূত্র জানা যায়, ১ লাখ টাকা চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় সৈকতকে (৭) হত্যার ঘটনায় তার বাবা মো. সিদ্দিকুর রহমান নেত্রকোনার কলমাকান্দা থানায় ২০১০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলা করেন। ২০১১ সালের ১৩ অক্টোবর এই মামলায় প্রধান আসামি নেত্রকোনা সরকারি কলেজের ছাত্র অলি আহম্মদকে (২২) মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪।
এছাড়া পলাতক আসামি সবুজ মিয়া ও তাপস সাহাকে যাবজ্জীবন কারাদদণ্ড দেন আদালত। তবে মামলার আরেক আসামি আনিছ মিয়া শিশু হওয়ায় তাকে ১০ বছরের সাজা দেন একই আদালত।
এদিকে, আইনানুযায়ী শিশুর অপরাধের বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হতে পারে কিনা, এ নিয়ে আইনগত প্রশ্ন উত্থাপিত হলে হাইকোর্ট বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করেন।
ওই বেঞ্চে মামলাটির শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ২৮ আগস্ট শিশু সৈকতকে অপহরণের পর হত্যা মামলায় প্রধান আসামি নেত্রকোনা সরকারি কলেজের ছাত্র অলি আহম্মদকে (২২) মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাসের রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারপতিদের সাক্ষরের পর রায়টির লিখিত অনুলিপি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়।
Development by: webnewsdesign.com