হার্ট অ্যাটাক এড়াতে রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়া উচিত। এই সময়কে গোল্ডেন আওয়ার বলা হয়। গবেষণায় প্রমাণিত ‘গোল্ডেন আওয়ারের মধ্যে ঘুমাতে গেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। এছাড়াও হৃদযন্ত্র কেমন থাকবে তা অনেকটাই নির্ভর করে সময়মতো পর্যাপ্ত ঘুম ও ঘুমের সময়ের ওপর।
ঘুমের মধ্যে আমাদের হৃৎস্পন্দন, রক্তনালির স্থিতিস্থাপকতা, রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা ও হৃদ্যন্ত্র, মস্তিষ্কের কর্মকাণ্ডে নানা ধরনের শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন ঘটে। ঘুমের সময়টাতে আপনি জেগে থাকলে তাতে ছন্দপতন ঘটে। দেহঘড়ির কাজ ব্যাহত হয়। এর বিরূপ প্রভাব পড়ে রক্তসংবহনতন্ত্রের ওপর। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে আরও নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
একজন চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিন মাস কারও নিয়মিত সঠিক মাত্রায় ঘুম না হলে অকাল মৃত্যু, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের আশঙ্কা দশগুণ বেড়ে যায়।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে যারা ঘুমিয়ে যান তাদের তুলনায় ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে ঘুমানো ব্যক্তিদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ১২ শতাংশ বেশি। তবে আগে ঘুমানোই যে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, এমনটাও নয়। ১০টার আগে যারা ঘুমিয়ে পড়েন, তাদের মধ্যে ঝুঁকির পরিমাণ ২৪ শতাংশ বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার এমোরি ইউনিভার্সিটির করা অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রকৃত বয়সের তুলনায় হৃদযন্ত্রের ক্ষয় তাদেরই কম যারা রাতে টানা সাত ঘণ্টা ঘুমান নিয়মিত। সাত ঘণ্টার কম কিংবা বেশি ঘুমানো হৃদযন্ত্রের ক্ষয় বাড়ায় বা হৃদযন্ত্রের বয়স বাড়ায়। এদের মধ্যে যারা কম ঘুমান তাদের হৃদযন্ত্রের উপর বয়সের প্রভাব সবচাইতে বেশি।
Development by: webnewsdesign.com